সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দুর্গাপুজোর পর এবার কোজাগরী লক্ষ্মীর (Laxmi Puja) আরাধনাতেও কাঁটা হয়ে দাঁড়াল মারণ করোনা। যার জেরে কমছে পুজোর জৌলুষ। কালনার ধর্মডাঙায় যেখানে প্রতিবার ২৫ ফুটের বেশি উচ্চতার লক্ষ্মী প্রতিমার আরাধনা করা হত। এবার সেখানকার প্রতিমার উচ্চতা কমে হয়েছে ৬ ফুট। বন্ধ হচ্ছে মেলাও। হবে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মনখারাপ সকলেরই।
কালনা শহর লাগোয়া হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মডাঙা গ্রামে প্রতিবছর জাঁকজমক করে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়। খান দশেক বড় পুজোর মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কাড়ে পল্লিশ্রীর লক্ষ্মীপুজো। ২৫ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার লক্ষ্মী প্রতিমা আনা হয় সেখানে। করোনার কোপে চলতি বছরে আর্থিক সংকটে সকলে। তাই এবার ৬ ফুটেরও কম উচ্চতার প্রতিমা এনেছে তাঁরা। কালনা-২ ব্লকের হিজুলি গ্রামে অঙ্কুর ক্লাব ও দক্ষিণপাড়ার তরুণ সংঘ থিমের লক্ষ্মী পুজো করে। বাজেট থাকে লক্ষাধিক টাকা। এবার আর থিমের পুজো করছে না তাঁরা। কম বাজেটেই তাঁরাও সারছে পুজো। ফলে প্যান্ডেলও অনেক ছোট করেই তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবার লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে গ্রামগুলি জন সমাগমে গমগম করত। কিন্তু চলতি বছরে অবস্থা একেবারেই অন্য। নজরে পড়ছে না কারও উচ্ছ্বাস।
ধর্মডাঙা গ্রামের পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এবার ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো করতে পারছেন না। কারণ, করোনার জন্য ফসল বিক্রি হয়নি। আবার যাঁরা বাইরে কাজ করতেন লকডাউনের সময় বাড়ি ফিরেছেন। আর কাজে যেতে পারেননি বাইরে। আগে তাঁরা পুজোর সময় ফিরতেন। ভাল টাকার জোগান থাকত। এবার অর্থাভাব রয়েছে মানুষের। সেই কারণে জাঁকজমক করা যাচ্ছে। একই কথা জানিয়েছেন হিজুলি গ্রামের অঙ্কুর ক্লাবের তন্ময় মালিক ও তরুণ সংঘের ভাস্কর মালিক। তবে আসছে বছর ফের আগের মতোই ঘটা করে কোজাগরীর আরাধনা করতে পারবেন বলেই আশাবাদী সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.