Advertisement
Advertisement
Durga Puja Calcutta Medical

চাপের কাছে নতিস্বীকার, মেডিক্যালে দুর্গাপুজোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চিকিৎসকদের

প্যান্ডেল বাঁধা, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদল।

Durga Puja 2020: Doctors scrap Durga Puja proposal at Calcutta Medical College & Hospital।Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 14, 2020 5:46 pm
  • Updated:October 14, 2020 5:46 pm  

অভিরূপ দাস: প্যান্ডেল বাঁধা, প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় শেষ। এই অবস্থায় চাপের মুখে অবশেষে নতিস্বীকার। পুজো করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Calcutta Medical College & Hospital) চিকিৎসকদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হল মেডিক্যালে আসছেন না মা দুর্গা। যদিও সুপার ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসের দাবি, “হাসপাতালে পুজো হচ্ছিল না, বাইরে জুনিয়রদের পুজো করার কথা ছিল। যেহেতু হাসপাতাল চত্বরে পুজো নয়, সেহেতু অনুমতি বা বন্ধ করিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।”

করোনা চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এবছর মণ্ডপ বেঁধে, প্রতিমা এনে দুর্গাপুজোর  (Durga Puja 2020) আয়োজন শুরু হয়েছিল। হাসপাতাল চত্বরে দুর্গাপুজো করতে চেয়ে চিকিৎসকদের একাংশ সপ্তাহদুয়েক আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। দিন পনেরোর টানাপোড়েন শেষে বয়েজ হস্টেলে সেই পুজোর অনুমতি মেলে। অতিমারীর সময় খাস করোনা হাসপাতালে মণ্ডপ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শারদীয়ার ঢাকে কাঠি, একই দিনে রাজ্যের দুই প্রান্তের ৬৯টি পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর]

যা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছিল বিতর্ক। একদিকে চিকিৎসকদের একাংশ যখন উৎসব মুলতুবি রাখার পক্ষে সওয়াল করছেন তখন কীভাবে চিকিৎসকদের একটা অংশ দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছিলেন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা। পুজোর প্রথম শর্তই হচ্ছে, একজোট হতে হবে। করোনা (Coronavirus) হাসপাতালে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

তবে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মীরা বহুদিন বাড়ি যাননি। পরিজনদের সঙ্গে দেখা হয়নি। সাতদিন ডিউটি এবং ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে দিন কাটছে। পুজোর সময়েও ছুটি বাতিল বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই হস্টেল চত্বরের এই পুজো তাঁদের মানসিক স্বস্তি দিত। কটাদিন উৎসবের আমেজ থাকলে তাঁদেরও মন ভাল হত। কিন্তু চাপের মুখে বাধ্য হয়েই দুর্গাপুজোর সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন চিকিৎসকদের একাংশ।

[আরও পড়ুন: মহামারী আবহে বাংলায় দুর্গোৎসব বন্ধ রাখা হোক, হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement