ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আবারও হাসবে পৃথিবী। করোনামুক্ত হবে চতুর্দিক। এমনই আশা প্রত্যেকের। তবে তখম এই অন্ধকারের কথা মনে থেকে যাবে সকলের। আর সেকথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে করোনা কালের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টের কথাও। যাতে কেউ ভুলে না যান, সেটাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেকথা মাথায় রেখে বড়িশা ক্লাবের দেবী প্রতিমা সংরক্ষণের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
করোনা আবহে পুজো উদ্বোধন মূলত ভারচুয়ালি সারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কয়েকটি মণ্ডপে গিয়ে নিজেই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। সেই তালিকাতেই ছিল বড়িশা ক্লাবও (Barisha Club)। সেখানে গিয়ে দেবী প্রতিমা দেখে অবাক হন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরিযায়ী মায়ের আদলে গড়া সেই দেবী প্রতিমার ছবি ভাইরাল হতেও বিশেষ সময় লাগেনি। সকলেই ধন্য ধন্য করতে থাকেন। এবার ওই প্রতিমাই সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে সেকথা জানান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, আপাতত রবীন্দ্র সরোবরের ‘মা ফিরে এল’ প্রদর্শন কক্ষে রাখা হবে ‘পরিযায়ী মা’কে। তবে পরে ওই দেবী প্রতিমা কোনও আইল্যান্ডে রাখা হবে। ওই মূর্তিটির নামানুসারে আইল্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার নাম দেওয়া হবে। সেই জায়গা খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। মূর্তিটি যাতে রোদে নষ্ট না হয় তাই আচ্ছাদনের বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন থিম শিল্পী রিণ্টু দাস।
বড়িশা ক্লাবের এবারের থিম ‘ত্রাণ’। লড়াকু পরিযায়ী শ্রমিক মাকে কুর্নিশ জানিয়েছে বড়িশা ক্লাব। বেহালার এই ক্লাবের দুর্গোৎসবে পরিযায়ী শ্রমিক মায়ের রূপে দেবী দুর্গাকে আদল দেওয়া হয়। মায়ের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। কোলে সন্তান আর হাতে ছিল ত্রাণের থলি। কোলের সন্তানটি কার্তিক। গণেশ বসে অসুরের উপর। শিল্পী রিন্টু দাসের ভাবনায় কৃষ্ণনগরের পল্লব ভৌমিক দেবী প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। যা ব্যতিক্রমী দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2020) সত্যিই সকলকে অবাক করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.