শুভময় মণ্ডল: কথায় বলে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তবে বাস্তবে শুধু রান্না করা আর চুল বাঁধার সংক্ষিপ্ত গণ্ডিই নয়। পরিবর্তে এক হাতে তিনি যেমন সংসার সামলান তেমনই আবার একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিত্বও সামলান। সেই একই মহিলা আবার গানও লিখেছেন। বুঝতে পারছেন না তো কার কথা বলা হচ্ছে। তবে খোলসা করেই বলা যাক। চলতি বছরের পুজোয় থিম সং লিখে এভাবেই সকলকে অবাক করে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এ রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর এই প্রতিভার প্রকাশ পেল।
গড়িয়াহাটের একমাত্র মহিলা পরিচালিত পুজো হিন্দুস্তান ক্লাব। তার প্রধান উপদেষ্টা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বছরের পর বছর ধরে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নিজের কাঁধে ওই পুজোর দায়িত্ব সামলেছেন। তবে এবার আর পুজোর ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি থিম সংয়েও বিশেষ নজর দেন তিনি। তাই তো দিন কুড়ি আগে থিম সং লিখে ফেলেন মন্ত্রী। তাঁর লেখা গানে সুর দিয়েছেন দেবাদিত্য চৌধুরি। রাজু দাস বাউল গানটি গেয়েছেন। গত মঙ্গলবার গীতিকার চন্দ্রিমার উপস্থিতিতে গানটি রেকর্ড করা হয়। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,”এবার আমাদের পুজোর ট্যাগলাইন আদিরসে শহর মজে। পুজোর মাধ্যমে অধিবাসীদের কৃষ্টিকে সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা।”
ব্র্যান্ড ‘লক্ষ্মীছাড়া’য় কিবোর্ড বাজান দেবাদিত্য চৌধুরি। তিনিই এই গানের সুরকার। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে একেবারে অন্যরকমভাবে দেখে আপ্লুত তিনি। শিল্পী বলেন, “এটা আমার পাড়ার পুজো। আমি ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত।” চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের লেখা থিম সংয়ের গায়ক রাজু দাস বাউলের অবস্থাও একইরকম। এমন সুন্দর গান গাইতে পেরে বেজায় খুশি হয়েছেন তিনিও।
কবিতা, আঁকা বড়ই পছন্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর থিম সংও লিখেছেন তিনি। তবে এ রাজ্যের অন্য কোনও মন্ত্রীকে এর আগে পুজোর গান লেখার জন্য কলম ধরতে দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাই তাঁর গান এবং থিম ভাবনার টানে পুজোয় সময় বের করে অবশ্যই হিন্দুস্তান ক্লাবের মণ্ডপে একবার ঢুঁ মারতেই হবে আপনাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.