পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন চোরবাগান সর্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷
সুলয়া সিংহ: শিল্পীর হাত ধরেই হয় নতুন শিল্পের সৃষ্টি। যে সৃষ্টির নেপথ্যে থাকে কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং অসীম ভাবনা। সে সৃষ্টি তখনই সুখের ও উল্লাসের হয়ে ওঠে, যখন তা বাকিদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে, সৃষ্টির অভিনবত্ব যখন বিস্মিত করে তোলে। এবারের পুজোয় আরও একবার তেমনই প্রয়াস করেছেন শিল্পী দেবতোষ কর। তাঁর শৈল্পিক ছোঁয়ায় সামান্য ধুঁধুলও হয়ে উঠেছে অনন্য। এবার এই ধুধুলই মূল আকর্ষণ চোরবাগান সর্বজনীনের। থিমের পোশাকি নাম ‘দৃষ্টি থাকুক সৃষ্টিতে’।
কলকাতার রাস্তাঘাটে ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই একটি টিজারের হোর্ডিং চোখে পড়েছে। যেখানে লেখা, এবার পুজোয় ১৫ লক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে, ১৫ লক্ষ আসলে কী? মণ্ডপে পা রেখেই মিলল উত্তর। আসলে চোরবাগান এবার মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করেছে প্রায় পনেরো লক্ষ ধুঁধুল। পরিবেশ বান্ধব উপাদান দিয়েই মণ্ডপ তৈরিতে বিশ্বাসী শিল্পী দেবতোষ কর। সেই কারণেই বেছে নিয়েছেন এই উপাদান। যার বাজার মূল্যও যেমন কম, তেমনই পরিবেশবান্ধব। সামান্য ধুঁধুল দিয়েও যে শিল্প সৃষ্টি সম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। মণ্ডপজুড়ে লাভার মতো বেরিয়ে আসতে থাকা লক্ষ লক্ষ ধুধুল যেন নিঃশব্দে দর্শককে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিচ্ছে। কথায় কথায় দেবতোষ কর জানালেন, তাঁর ভাবনার কথা। জানালেন, ধুঁধুলের সঙ্গে কাপড়, বাঁশের কঞ্চি ইত্যাদি সরঞ্জামও ব্যবহার করা হয়েছে। এ মণ্ডপের থিম আলাদা করে কোনও গল্প না বললেও উপাদানের নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর বিশেষত্ব।
শুধু মণ্ডপই নয়, প্রতিমাতেও রয়েছে থিমের ছোঁয়া। এখানে নানা রঙে নয়, মা উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন সোনালি রঙে। প্রতিমাও তৈরি করেছেন দেবতোষ করই। গতবার মাটির ব্যবহারে সৃষ্টি ও বিলীনকে একাত্ম করে দর্শনার্থীদের মন কেড়েছিলেন শিল্পী। এবারও শিল্পীর সৃজনে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। কল্পনার নতুন দিশারী এবছর চোরবাগান সার্বজনীন। শিল্পের মাদকতায় যারা বিভোর থাকে, এবারও তাদের অবশ্যই টানবে এই মণ্ডপ। পুজোর শহরে তাই চমক লাগাতে তৈরি চোরবাগান সর্বজনীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.