চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: উৎসবে আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই রীতি। নতুন জামা কাপড় পরে ঘুরে বেড়াবে একদল। আবার একদল মানুষ কিছুই পাবে না। এই বৈষম্য দূর করতে এগিয়ে এলেন আসানসোলের এক যুবক। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য নতুন ও পুরনো কাপড়ের জোগান দিতে বস্ত্র ব্যাঙ্ক খুলছেন দেবাশিস ঘটক ফাউন্ডেশনের সক্রিয় সদস্য পিন্টু কর্মকার।
[ আরও পড়ুন: বসুবাড়িতে প্রতিপদেই হয় উমার বোধন, অবাক করবে ৩০২ বছরের পুরনো পুজোর কাহিনি ]
পুজোর মুখে উদ্বোধন হওয়া এই বস্ত্র ব্যাংক সারা বছর চালু থাকবে বলে খবর। দেবাশিস ঘটকের মূর্তির কাছেই একটি ঘরে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি করে বস্ত্র ব্যাংক খোলা হবে। এখানে যাঁরা পোশাক দান করতে চান, আলমারিতে সাজিয়ে রেখে যেতে পারেন। আবার যাঁরা নিতে চান, তাঁরা আলমারির থেকে নিয়ে যেতে পারেন। তবে এই মূহূর্তে বাড়ি—বাড়ি ঘুরে জামা কাপড় সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে বস্ত্র ব্যাংকের উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রীর প্রয়াত ভাইয়ের নাম দেবাশিস ঘটক। তাঁর সমাজসেবা জন্য মৃত্যুর পরেও তিনি মানুষের মনে বেঁচে আছেন। তাঁর নামাঙ্কিত ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানেই পোশাক এই ব্যাঙ্কে আনা হবে।
[ আরও পড়ুন: লন্ডনে পাড়ি পদ্মের, দুর্গা আরাধনায় ফুলের জোগান বাঁকুড়ার চাষিদের ]
পিন্টু জানান, “ইতিমধ্যে অসংখ্য জামা কাপড় জমা পড়েছে। যেমন নতুন জামা আছে, তেমন পুরানোও আছে। বিনামূল্যে এই পোশাক দুঃস্থ ও গরীবদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । শহরে বাসস্ট্যান্ড, ফুটপাত, রেলস্টেশনে থাকা মানুষদের ইতিমধ্যেই পোশাক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।” ফাউন্ডেশনের পক্ষে মন্ত্রী মলয় ঘটকের ছোট ভাই মেয়র পারিষদ অভিজিত ঘটক বলেন, “দুঃস্থ ও অভাবী শিশুদের পুজোর আনন্দে শামিল করা, এটাই ছিল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে আমরা উপলব্ধি করলাম সারা বছর ধরে এই পরিষেবা চালু রাখব।”
ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.