Advertisement
Advertisement

Breaking News

কার্তিক সাজতে ব্যস্ত শিলিগুড়ির বিশ্বকর্মা, কী চলছে কুমোরটুলিতে?

লক্ষ্মীলাভের আশায় দেবতার ভোল বদলে মগ্ন মৃৎশিল্পীরা।

Unsold 'Biswakarma' ldols are converted to 'Kartika' in Siliguri

ছবিতে বিশ্বকর্মার ভোল বদল

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 23, 2018 8:45 pm
  • Updated:September 23, 2018 9:05 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বিশ্বকর্মা বদলে গেলেন কার্তিক ঠাকুরে। পুজোর মুখে লক্ষ্মীলাভের আশায় কারিগরির দেবতাকে ছেড়ে দেব সেনাপতিতেই ভরসা রাখছেন মৃৎ শিল্পীরা। দু’দিন আগেও যন্ত্রের দেবতার মূর্তিতে ভরতি ছিল স্টুডিও। এদিন সকালে গিয়ে দেখা গেল দেব-সেনাপতি কার্তিকের মূর্তিতে পরিপূর্ণ স্টুডিও। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে।

বিশ্বকর্মার কাঠামোতে মাটি পড়লেও টানা বৃষ্টির জেরে তা শুকোয়নি। তাই বরাত পেলেও সময়মতো মূর্তি সরবরাহ করতে পারেননি অনেক শিল্পী। স্বাভাবিকভাবে বিশ্বকর্মা পুজোর বাজারে উপার্জনের ভাঁড়ার প্রায় শূন্যই থেকেছে। সামনেই দুর্গোপুজো। কৈলাস থেকে পরিবার নিয়ে মা আসছেন মর্ত্যে। এইবেলা যদি রোজগারপাতি না হয় তো কবে হবে। তাই স্টুডিওতে সারিবদ্ধভাবে থাকা বিশ্বকর্মাই এখন কার্তিক সাজতে ব্যস্ত। বারোয়ারি থেকে বাড়ির পুজো সব ধরনের বরাতই আসে কুমোরটুলিতে। অনেকেই দুর্গা ও তার গোটা পরিবারের আলাদা মূর্তির বরাত দেন। সেসব জায়গায় দারুণভাবে সেট করে যাবে এই কার্তিকের মূর্তি।

Advertisement

[এই বাড়ির পুজোয় পাঁচদিন পাত পেড়ে অন্নভোগ গ্রহণ করে গোটা গ্রাম]

বিশ্বকর্মা বিক্রি না হওয়ায় যে হতাশা গ্রাস করেছিল, এই ভোলবদলের সিদ্ধান্তে তার কিছুটা কেটেছে। তাই তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু দিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা। বিশ্বকর্মার হাতি সরিয়ে ময়ূর সেট করা হচ্ছে। সাজপোশাকেও সামান্য রদবদল নজরে আসছে। এভাবেই চলছে কার্তিক সাজানোর পালা। তবে তাতেও বেশ দুশ্চিন্তায় শিল্পীরা। সেজেগুজে বসে থাকা কার্তিকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এর মধ্যে কটি মূর্তি শেষপর্যন্ত মণ্ডপে পৌঁছাবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে আশায় বুক বাঁধছেন মৃৎশিল্পীরা।

কী করে হল এমন পরিস্থিতি?

মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, বিশ্বকর্মার বরাত নেওয়ার সময় আকাশের ভাবগতিক ঠিকই ছিল। তবে সময় যত গড়িয়েছে বৃষ্টির আশঙ্কা তত নিশ্চিত হয়েছে। তাই বরাত নিয়েও অনেক মূর্তি সময়ে তৈরি করা যায়নি। কোথাও কাঠামোতে মাটি পড়লেও তা না শুকোনোর জন্য কাজ থমকে গিয়েছে। তাই বলে তো আর পুজো বন্ধ থাকতে পারে না। বরাত বাতিল করে শিল্পালয় থেকে মূর্তি কিনেছেন অনেকে। শিলিগুড়ি শহরে বেশ কয়েকটি শিল্পালয় তৈরি হয়েছে। তাই এবার মৃৎশিল্পীরা আশামাফিক ঠাকুর তৈরির বরাতও পাননি। এমনিতেই গণেশ পুজোর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকর্মার জনপ্রিয়তায় ঘাটতি পড়েছে। অনেকে আবার ছবিতেই যন্ত্রের দেবতার আরাধনা সেরেছেন। এরপরেও যতটুকু বরাত এসেছিল তাতে জল ঢেলেছে বৃষ্টি। তাই দুর্গা প্রতিমা তৈরিতেও পুঁজি কম পড়ছে। সেকারণেই কার্তিকের দ্বারস্থ তাঁরা।

[বাড়ির পুজোয় থিম সংগীত! শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ায় শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement