নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় স্বপ্না বর্মন।
ছেলেবেলা কেটেছে জলপাইগুড়ির ঘোষপাড়া রংধামালির গ্রামে। পুজো বলতেই আমার প্রথম মনে পড়ে মেলার কথা। পুজোকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বিশাল মেলা বসত। মা-বাবা-ভাইবোনদের সঙ্গে সেই মেলায় যেতাম আমি। ছোট থেকেই আমার চুড়ি পড়ার খুব শখ। মেলায় প্রচুর চুড়ি কিনতাম। আর কিনতাম পুতুল। বলা ভাল, সারা বছরের খেলার সরঞ্জাম কেনা হয়ে যেত ওই মেলা থেকেই। জামা খুব বেশি হত না। চার ভাইবোনের সব থেকে ছোট আমি। তবে ছোট বলে এমন নয় যে, আমার বেশি জামা হত। বাবা চার ভাইবোনকেই একটা করে জামা কিনে দিতেন। তাই নিয়েই আমরা খুশি থাকতাম। জেদ করলে অবশ্য বাড়তি জামা মিলত, কিন্তু আমি কখনওই জেদ করিনি। পুজোর সময় মা বাড়িতে নারকেল নাড়ু বানাত। আর মায়ের বর্তমানে আমরা ভাইবোনেরা সেসব খেতাম। ভীষণ মজার ছিল সেই সব দিনগুলো।
[ আমার দুগ্গা: পুজোর সময় মেলা দেখার অন্য অনুভূতি ছিল ]
পুজোর সময় সবাই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরত। কিন্তু ছোট থেকেই আমার তেমন কোনও বন্ধু ছিল না। আমি দাদা-দিদিদের সঙ্গেই ঘুরতাম। মনে পড়ে, দিদি যখন অঞ্জলি দিতে যেত, তখন আমি বাড়িতে পুতুল খেলতাম। সতি্য কথা বলতে, গত বছর প্রথম অঞ্জলি দিয়েছি আমি। শাড়ি পরে। এমনিতেই শাড়ি আমার সবচেয়ে প্রিয় পোশাক। গত বছর শাড়ি পরে প্রথম অঞ্জলি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এক অদ্ভূত অনুভূতি হয়েছিল। তবে ছেলেবেলার মতো এখন আর মেলায় যাওয়া হয় না। এখন বিভিন্ন পুজো সংগঠকদের থেকে উদ্বোধনের অনুরোধ আসে। তা রাখতেই বিভিন্ন পুজো উদ্বোধনে যাই। আসলে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করাই মানুষের ধর্ম। আমিও আমার জীবেনর এই পর্যায়কে উপভোগ করছি। যেখানে হয়তো মেলা নেই, নেই পুতুল বা চুড়ি।
[ আমার দুগ্গা: কাঠামো বাঁধার দিন থেকেই পুজোর শুরু ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.