নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় সুবোধ সরকার।
[ আমার দুগ্গা: পুজো শুরু হত কার ক’টা জামা গুনে ]
ষষ্ঠী সপ্তমী নয়, প্রতিমার কাঠামো বাঁধার দিন থেকেই ছোটবেলায় শুরু হয়ে যেত আমার পুজো। পাড়ায় পাল বাড়িতে বাঁশের উপর খড় বাঁধা শুরু হলেও পুজো-পুজো অনুভূতি হত। আমার ছেলেবেলা কেটেছে কৃষ্ণনগরে। শরণার্থী পরিবারে। সুতরাং আর্থিক স্বচ্ছলতার মধ্যে বড় হইনি আমি। তবে একটা মুক্ত জীবন ছিল। পুজোতে নতুন জামাও হত না। কারণ, বন্ধুদের দু’টো-চারটে করে জামা হত, তারাই তার মধ্যে থেকে একটা জামা পরিয়ে দিত। এ প্রসঙ্গে খুব মনে পড়ে আমার এক বন্ধুর কথা। তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। আমার অন্যতম ভাল বন্ধু ফারুকের পুজোতে দু’টো জামা হয়েছিল। আমার জামা হয়নি শুনে ও তার মধ্যে থেকে একটা জামা আমায় দিয়ে দিয়েছিল। সেটা পেয়ে আমি ফারুককে বলেছিলাম, “তোকে তো কিছুই দিতে পারলাম না।” এর উত্তরে ফারুক একটা অসামান্য হাসি উপহার দিয়েছিল আমায়। সেই হাসিটা আজও ভুলতে পারিনি।
[ আমার দুগ্গা: বিজয়া মানেই লোভনীয় সব মিষ্টি-নাড়ু ]
আসলে ওই হাসিটাই হল আসল ভারতবর্ষ। আমার দেশ। এখন ছোটবেলার পুজোকে ভীষণভাবে মিস করি। বড় হওয়ার পর নিজের পুজো বলে কিছু নেই। ঠাকুর দেখি। তবে দর্শক নয়, বিচারকের ভূমিকায়। এমনকী বিদেশেও কাটে পুজো। এবারও পুজোর প্রথম কয়েকদিন কলকাতায়, শেষে বিদেশে যাব। এখন পুজোটা অনেক বেশি যান্ত্রিক। ছোটবেলার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোর কথা ভেবে খুব মন কেমন লাগে। ফিরতে ইচ্ছে করে কৃষ্ণনগরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.