পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন ভবানীপুরের অবসরের পুজো প্রস্তুতি৷
সুলয়া সিংহ: বিজ্ঞানের উন্নতি আজ মানব সমাজকে করেছে আরও সভ্য। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে যেমন দুনিয়া আজ হাতের মুঠোয়, তেমন এর অভিশাপের সাক্ষীও হতে হয়েছে গোটা বিশ্বকে। মুদ্রার উলটো পিঠের মতোই বিজ্ঞানের ব্যবহার আজ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। গতবার ভবানীপুর এলাকার অবসর পুজোমণ্ডপে সেই উষ্ণায়নের কাহিনিই ফুটিয়ে তুলেছিলেন শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই উষ্ণায়নের প্রতিকারের পথ খুঁজছেন শিল্পী।
সিনেমা বা ধারাবাহিকের সিক্যুয়েলের কথা তো শুনেছেন। এবার পুজোতেও সিক্যুয়েলের সাক্ষী থাকবেন দর্শনার্থীরা। কারণ সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডপে উষ্ণায়নের প্রতিকারকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। গতবার মণ্ডপসজ্জার মূল উপকরণ ছিল কাচ। সামান্য কাচকে কীভাবে চমৎকার শিল্পে রূপান্তরিত করা যায় তাই-ই করে দেখানো হয়েছিল। এবার কৃত্রিম গাছ দিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। কীভাবে ফুটিয়ে তুলছেন তাঁর ভাবনা? গোটা মণ্ডপে সবুজের ছোঁয়া। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে একমাত্র সমাধান হল প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। বহু বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলে গিয়েছিলেন, একটি গাছ কাটা হলে, দশটি গাছ লাগানো উচিত। কিন্তু শহরের বুকে যেভাবে কংক্রিটের জঙ্গল বাড়ছে, তাতে ক্রমেই কমছে গাছের সংখ্যা। তা বলে কি ইচ্ছা থাকলে তার মধ্যেই সামান্য সবুজকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়? ভেবে দেখুন তো, বাড়ির ছোট্ট ব্যালকনিতেও তো টবে দু-চারটে বৃক্ষরোপণ করা যায়। তাতে শুধু বাড়িরই না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতেও অবদান থাকবে আপনার। সেই বিষয়টিই বিভিন্ন কাঠ ও গাছের ইনস্টলেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী।
মানুষ সচেতন হলে তবেই বিশ্বজুড়ে সবুজায়ন সম্ভব। এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাওয়ার দায়িত্ব তো আমাদের প্রত্যেকের। যার সমাধান লুকিয়ে বৃক্ষরোপণে। থিমের সঙ্গে মানানসই করেই পোড়ামাটির প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী। পরিবেশ বান্ধব মাতৃপ্রতিমা সংরক্ষণের ইচ্ছাও রয়েছে তাঁর। আর শিল্পী বিক্রম ঘোষের আবহে দৃঢ় হবে সবুজায়নের বার্তা। আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে এবারও সুদীপ সান্যালের উপরই ভরসা রেখেছেন উদ্যোক্তারা। সবমিলিয়ে পুজোর উৎসবে শহরকে সতেজ রাখার উপায় বাতলাবে অবসর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.