Advertisement
Advertisement

প্রকৃতি আজ বিপন্ন, পুজোয় ভূমি সংরক্ষণের বার্তা বেহালা নূতন সংঘের

সৃজনে শিল্পী সনাতন দিন্দা ও মানস দাস।

Puja 2018: Behala Nutan Sangha's Pandal to depict soil conservation
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:October 6, 2018 1:59 pm
  • Updated:October 6, 2018 1:59 pm  

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন বেহালা নূতন সংঘের পুজো প্রস্তুতি৷

শুভময় মণ্ডল: ‘এবার মরলে গাছ হব…’। গাছেদেরও প্রাণ আছে। তাদের ব্যথা-বেদনার কথা বলতে গান বেঁধেছিলেন অনুপম রায়। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে গাছ ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। শুধু গাছ কেন? মাটি, বায়ু, জল সবই ভীষণ দরকার। প্রকৃতির এই উপাদানগুলি আজ বিপন্ন। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে মাটি। গোটা বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির রূদ্ররোষে মানবসভ্যতা ধ্বংসের মুখে। এখনই যদি ভূমি সংরক্ষণের দিকে নজর না দেওয়া হয় তাহলে সভ্যতার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তাই দরজায় কড়া নাড়ছে ধরিত্রী, এবার তার ঋণশোধের পালা। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা পুজোর শহরে ফুটিয়ে তুলতে চলেছে বেহালা নূতন সংঘ। নামের মতোই চির নূতনের ডাক রয়েছে তাদের পুজোয়। প্রাক হীরক জয়ন্তী বর্ষে তাই তাদের ভাবনা- ‘ভূমি সংরক্ষণ’। সৃজনে শিল্পী সনাতন দিন্দা ও মানস দাস। দুই শিল্পীর যুগলবন্দিতে সেজে উঠছে বেহালার অত্যন্ত কুলীন এই পুজোর মণ্ডপ।

Advertisement

[দমদম পার্ক ভারতচক্রে দেবীর সঙ্গে এবার বন্দিত হবেন সমাজের দশভুজারা]

 

গাছেদেরও কিছু বলার আছে। ভূমিরও ঋণশোধ করতে হবে। যুগে যুগে মানব সভ্যতাকে হৃষ্টপুষ্ট করেছে প্রকৃতি। কিন্তু চিরকালই আমরা অবহেলা করেছি ভূমিকে। তাই সংরক্ষণের বার্তা দিচ্ছেন শিল্পীদ্বয়। বৃক্ষরোপণই শুধু নয়, ভূমি সংরক্ষণের যাবতীয় পন্থা মণ্ডপসজ্জায় বোঝানো হয়েছে। শহরের রাজপথের ধারে যেমন কাটা গাছকে দেখতে পাওয়া যায় সেরকমই জিনিস থাকছে মণ্ডপে। শিল্পী মানস দাসের কথায়, বৃক্ষরোপণের বার্তা দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য নয়। আসলে ভূমি সংরক্ষণের জন্য যা যা করণীয় তাই দর্শনার্থীদের বোঝানো হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। এই পুজোর এবারের আরও একটি সম্পদ সনাতন দিন্দা। সনাতনী ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে মৃন্ময়ী মাতৃমূর্তি। এবার শহরের পুজোয় অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে সেই প্রতিমা। যোগ্য সঙ্গতে শিল্পী মানস দাস। ভাবনা ও পরিকল্পনায় মানুষকে সজাগ করার তাঁর প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। মণ্ডপজুড়ে তৈলচিত্র, ম্যুরাল দিয়ে ভূমি সংরক্ষণের মাহাত্ম্য বুঝিয়েছেন শিল্পীদ্বয়। আবহ সংগীত রচনা করেছেন পণ্ডিত জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন সুকান্ত কর।

[পুজোয় নিশ্চিন্তে বেহালায় আসুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ক্লাবগুলি]

 

 

গত বছর প্রাণবন্ত উৎসবে মেতেছিল বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এই পুজো। দুর্গাপুজোয় বেহালার বুকে সন্ধান মিলেছিল একটুকরো রঙিন রাজস্থানের৷ এবার তাদের থিম ভাবনায় সামাজিক বার্তা কতটা মানুষকে নাড়া দেয় তাই দেখার।

[পুজোয় মনকে উৎফুল্ল করবে প্রফুল্ল কাননের মায়ের রূপ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement