Advertisement
Advertisement
pujo memory

পুজোয় সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়টা মিস করেন ইন্দ্রাণী-ইমন-অপরাজিতা?

জেনে নিন তিন তারকার প্রিয় পুজোর গল্প।

Indrani Haldar, Iman Chakraborty & Aparajita Addhya recalls pujo memory
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 2, 2018 6:47 pm
  • Updated:August 9, 2021 1:25 pm  

প্রিয় পুজো প্যান্ডেলে কেউ আজও খুঁজে পান হারিয়ে যাওয়া মা-বাবা-ভাইকে। কারও মনে পড়ে জীবনের প্রথম হার্টব্রেক। নিজেদের প্রিয় পুজো নিয়ে নস্ট্যালজিক তারকারা। শুনলেন ইন্দ্রনীল রায়

ইন্দ্রাণী হালদার

Advertisement

প্রিয় পুজো: নিউ আলিপুর ট্র্যাঙ্গুলার পার্কে নিউ আলিপুর অ্যাসোসিয়েশনের পুজো

আমার বাবা ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের ছোটবেলায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। কবীর সুমনের একটা গানের লাইন আছে না- ‘এই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু’। আমার কাছে এই পুজোটাও সেই রকম। এই পুজো আমার প্রথম সব কিছুর সাক্ষী। এখানেই প্রথম মঞ্চে নাটক করা, এখানেই প্রথম নাচ করা, এখানেই প্রথম প্রেমে পড়া, এখানেই প্রথম শাড়ি পড়া, এখানেই প্রথম ভোগ আর নাড়ু বিতরণ, এখানেই প্রথম সিঁদুরখেলা। আজকাল অবশ্য পুজোর সব ক’টা দিন কলকাতায় থাকা হয় না। কিন্তু যে ক’টা দিন থাকি, আমাকে এই পুজো প্যান্ডেল ছাড়া অন্য কোনও প্যান্ডেলে পাবেন না। আজও এখানে আমার মা ভোগের দায়িত্বে থাকেন। মাকে সবাই ভালবেসে ‘খিচুড়ি মাসিমা’ বলে। আজও এখানে আমি মাইকে অ্যানাউন্সমেন্ট করি, ধুনুচি নাচ করি। নিউ আলিপুর অ্যাসোসিয়েশনের মায়ের মুখ দেখলে তবেই যেন আমার পুজো কমপ্লিট মনে হয়।

ভেলপুরি থেকে আড্ডা, পুজোয় অনেক কিছুই মিস করেন কৌশিক-শ্রীজাতরা ]

ইমন চক্রবর্তী

প্রিয় পুজো: লিলুয়ার পাড়ার পুজো

প্রাণের পুজো বললে প্রথমেই মনে পড়ে লিলুয়ায় আমার পাড়ার পুজোর কথা। সেটা পুরোপুরি ছোটবেলার স্মৃতিসমৃদ্ধ। যাকে বলে ‘ফুল অফ মেমোরিজ’। হাত দিয়ে ক্যাপ ফাটানো থেকে হোল নাইট ঠাকুর দেখা- কী নেই! এক্কেবারে ফুল অন মস্তি। ফ্যামিলি, ফ্রেন্ডদের সঙ্গে কলকাতায় রাতে ঠাকুর দেখতে এলে বেহালায় দাদার পাড়ার ঠাকুর দেখাটা মাস্ট ছিল আমার কাছে। আসলে ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখব, এটাই ষোলো আনা ইচ্ছে ছিল। সেটা অবশ্য কোনও দিন ফুলফিল হয়নি। তবে এখন আর সে ভাবে কোনও পাড়ার পুজো বা হোল নাইট ঠাকুর দেখার সিন নেই। খুব মিস করি ওই দিনগুলো। ২০১৩ থেকে আমার কাছে পুজো মানেই প্রবাস। এ বছর যেমন বস্টন, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকোয় শো আছে।

‘প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মনোবিদের সাহায্য চেয়েছিলাম’ ]

অপরাজিতা আঢ্য

প্রিয় পুজো: হাওড়া চড়কতলা

আজকাল চারদিক কতটা বদলে গিয়েছে। পাঁচ-ছ’বছরের বাচ্চা মেয়েকে কেউ বঁটির কাছে ঘেঁষতেই দেবে না, ফল কাটা তো অনেক দূরের ব্যাপার। আমার কাছে কিন্তু পুজোর হাতেখড়ি স্নান করে, বঁটি নিয়ে পুজোর ফল কাটা দিয়ে। অনেকেই হয়তো জানেন না, পুজোর প্রত্যেকটা দিন আলাদা আলাদা শেপের ফল কাটতে হয়। সপ্তমীর দিন এক রকম, অষ্টমীর দিন অন্যরকম। আর এ সব আমি শিখেছি কোথায়? কেন, আমার প্রাণের পুজোর প্যান্ডেলে। হ্যাঁ, হাওড়ার চড়কতলার পুজোই আমার প্রাণের পুজো। ওখানেই সন্ধিপুজোর পদ্মগুলো আলাদা আলাদা করে খুলে রাখতে শিখেছিলাম। ওখানেই অপরাজিতা ফুল দিয়ে মা’কে পুজো করতে শেখা। ওখানেই প্রথম ঢাক বাজানো, ওখানেই জীবনের প্রথম লজ্জা পাওয়া। এমনকী ওই চড়কতলার পুজোতেই প্রথম বুকে ব্যথা পাওয়া। আজও পুজোর মধ্যে একদিন, হয়তো খুব সকাল সকাল বা মাঝরাতে আমি চড়কতলার মা’র সামনে গিয়ে দাঁড়াবই। ওই মায়ের মুখ না দেখলে আজও আমার পুজো সম্পূর্ণ হয় না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement