প্রীতিকা দত্ত: ঢাক-ধুনুচি-অঞ্জলি-ভোগ। এই সব নিয়েই সাধারণ বাঙালির মতো দুর্গাপুজোয় মেতেছেন আমেরিকা-জার্মানি-ফ্রান্সের কনসাল জেনারেলরা। পিছিয়ে নেই ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারও। এঁদের কেউ কেউ আবার প্রথম বছর কলকাতার দুর্গাপুজো উপভোগ করছেন। আর কেউ আগেও প্রত্যক্ষ করেছেন বাঙালিদের উন্মাদনা। আম জনতার পাশাপাশি তাই কনসাল জেনারেলদের ফেস্টিভ ফিভারের পারদও বেশ উপরের দিকে।
[এবার পুজোয় আপনিও দুর্গা কিংবা অসুর, জানেন কীভাবে?]
পুজোর ‘ফিল’ আনতে কলকাতায় নিযুক্ত ফ্রান্সের কনসাল জেনারেল ভেরজিনি করতেভাল দেবীপক্ষ পড়তেই গঙ্গাবক্ষে সেরে ফেলেছেন হেরিটেজ ওয়াক। কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল প্যাটি হফম্যান ঘুরে দেখেছেন কুমোরটুলি চত্বর। শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন মাতৃপ্রতিমা বানানোর খুঁটিনাটি। পুজো শপিংয়ে বেরিয়ে বাংলার তাঁতও স্থান পেয়েছে প্যাটির ওয়ার্ডরোবে। সেই সঙ্গে ভেরজিনি এবং জার্মানির কনসাল জেনারেলের সঙ্গে অষ্টমীর সকালে অর্থাৎ আজ যাচ্ছেন গ্রাম বাংলার পুজো দেখতে। কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে উস্তি। সেখানেই কনসাল জেনারেলদের অঞ্জলির ব্যবস্থা। ভোগ খাওয়া।
প্যাটি এবং ভেরজিনির এ বছরই প্রথম কলকাতার দুর্গাপুজো। আর দু’জনেই একবাক্যে স্বীকার করছেন পাঁচদিনের এই উৎসবে আম আদমির উন্মাদনা দেখে তাঁরা মুগ্ধ। ভেরজিনি করতেভাল বলেন, “একটা পুজোকে কেন্দ্র করে কত মানুষ একসঙ্গে এসেছেন। সত্যি, কত বৈচিত্র। ভিড় সামলাতে পুজো কমিটিগুলোর ধৈর্য দেখে অবাক হচ্ছি। শুনেছিলাম, আর্টের কদর বোঝেন এখানকার মানুষ। সেটাই প্রত্যক্ষ করলাম।” পুজো শুরু হতেই প্যান্ডেল হপিং শুরু প্যাটি হফম্যানের। “প্যান্ডেলে শিল্পীদের হাতের কাজে যেভাবে সামাজিক নানা সমস্যার কথা ফুটে উঠেছে, তা তারিফ না করে থাকা যায় না,” বললেন প্যাটি হফম্যান।
ব্রিটেনের ডেপুটি হাইকমিশনার ব্রুস বাকলেন বলেন, “আগেও দেখেছি কলকাতার পুজো। ব্রিটেন এবং বাংলার যোগসূত্র এই দুর্গাপুজো। গত বছর কলকাতায় এক পুজো কমিটি বাকিংহাম প্যালেস তৈরি করেছিল। কী নিপুণ সেই কাজ। এবছর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে এবং বিগ বেন তৈরি হয়েছে। সবার আগে সেটাই দেখেছি।” ২০১৬ সালের পুজো শুরুর দিনকয়েক আগে ব্রিটিশ ক্লাবে এক আড্ডায় ব্রিটেনের ডেপুটি হাইকমিশনার ব্রুস বলেছিলেন, “দুর্গোৎসবের পাঁচটা দিন বাঙালিদের ‘কার্নিভাল টাইম’। কোটি কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট। রাজ্য সরকারের উচিত এই উৎসবকে বিদেশিদের কাছে আরও জনপ্রিয় করা।” তার দিনকয়েকের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশমীর পর রেড রোডে বিজয়া কার্নিভালের আয়োজন করেছিলেন। যা এখনও চলছে। সত্যি, কর্মসূত্রে নিজের দেশ থেকে বহু দূরে থাকা অনেক মানুষকেই মিলিয়ে দেন মা দুগ্গা। সেই তালিকায় রয়েছেন কনসাল জেনেরালরাও।
[বলিউডে পা রাখছেন লুলিয়া, ‘প্রেমিকা’র জন্য বিশেষ বার্তা সলমনের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.