নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় নারায়ণ দেবনাথ।
দুর্গাপুজো এলেই মনে পড়ে যায় সিল্কের পাঞ্জাবি ও পাম্প শু-র কথা। ছেলেবেলায় পুজোর সময় সিল্কের পাঞ্জাবি ও পাম্প শু পরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়তাম। সন্ধ্যা হলেই ঠাকুরমার হাত ধরে পাড়ায় ঠাকুর দেখতে যেতাম। সেসময় পুজোর পোশাক বলতে ছিল সিল্কের পাঞ্জাবি। একবার ভট্টাচার্য বাড়িতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে চুরি হয়ে গিয়েছিল পাম্প শু। ভট্টাচার্য বাড়ির ঠাকুর দালানে জুতো খুলে ঠাকুরমার হাত ধরে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। ঠাকুর দেখে বেরিয়ে দেখি চুরি হয়ে গিয়েছে পাম্প শু। সেবার পুজোতে আবার জুতো কিনতে হয়েছিল।
[ আমার দুগ্গা: দুর্গাপুজো মানেই অনিয়ম, সন্ধ্যায় ঢাকের তালে নেচে ]
হাওড়ার শিবপুরে পুজো বলতে তখন তিনটি বিখ্যাত পুজো ছিল। ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো, সাঁজের আটচালার পুজো ও পাল বাড়ির পুজো। তার পর যখন আর্ট কলেজে পড়াশোনা করি তখন বেণীমিত্র লেনের বারোয়ারি পুজোয় নতুন ধরনের দুর্গা এল। পাহাড়ে দুর্গার পুজো করে বেশ সাড়া ফেলেছিল ওই বারোয়ারি পুজোটি। ওই পাহাড়ের দুর্গা দেখতে প্রতি বছরই বেণীমিত্র লেনে যেতাম। তবে এখন এত পুজোর ভিড়ে আর আমাদের মতো ছোটবেলা নেই। ছোটরা এখন বুড়ো হয়ে গিয়েছে। এখন বাড়িতে বসেই আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে অনেক দুর্গা দর্শন করে ফেলি। পুজো এলেই মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার কথা। ছেলেবেলার সেই দিনগুলোই খুব ভাল ছিল।
[ আমার দুগ্গা: পুজো মানেই আড্ডা, জলসা আর গান ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.