ছবিতে ময়ূরেশ্বরের রায়বাড়িতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ, ছবি: সুশান্ত পাল।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি : ঢাকে কাঠি পড়তে না পড়তেই বীরভূমের রায়বাড়িতে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো। বুধবার গ্রামের যমুনা পুকুরে ঘট ভরতির সঙ্গে সঙ্গেই পুজোর সূচনা হয়ে গেল। রীতি মেনে পিতৃপক্ষের কৃষ্ণনবমী তিথিতেই হয় দেবীর বোধন। দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রামের রায়বাড়ি ও চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে বুধবার দুপুরেই শুরু হল দেবী দুর্গার বোধন। দুই পরিবারের ১১ টি ঢাক, ধুনুচি ভরতি ধূপ আর বাজির শব্দে জানান দিল, পুজো শুরু হয়েছে। একদিকে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ৬০ শরিক, অন্যদিকে রায়বাড়ির আট শরিক। প্রায় সবাই একমাস আগে থেকেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন।
রায় পরিবারের দেবী দুর্গা পূর্ণ কলসে প্রতিষ্ঠিত হন। অন্যদিকে চৈত্রমাসের নীলপুজোর দিন চট্টোপাধ্যায় পরিবারে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এগারো পুরুষ ধরে এই পুজো চলে আসছে। মায়ের নামে ৮০ বিঘা জমি ও ছ’টি পুকুর রেখে গিয়েছেন পূর্বপুরুষরা। তা থেকেই চলছে পুজোর খরচ। এদিন বোধনের পাশাপাশি বলিও হয়। এরপর দেবী পক্ষের সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন চলে বলি।
ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণগ্রাম ও ন’পাড়াতে চারটি পারিবারিক পুজোও শুরু হয়ে গিয়েছে। ন’পাড়ার রায়চৌধুরি ও বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির শরিকরা এদিন গ্রামের কাদরের জলে মায়ের বোধন সারলেন । এদিন থেকেই দুই বাড়িতে ঘিয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। দেবীপক্ষের দশমী পর্যন্ত সেই প্রদীপ জ্বলে । দক্ষিণগ্রামের কল্যাণ রায় ও শিব প্রসাদ রায়দের বাড়িতেই একই রীতিতে পুজোর সূচনা হল এদিন । কলাপুকুরে ঘট ভরে আচার মেনে মন্দিরে ঘটস্থাপন করা হল। আগে এদিনের বলির জন্য মুরারইয়ের ভাদিশ্বর থেকে ছাগল আসত। পুজোর পুরোহিত আসত ঘোষ গ্রাম থেকে। এখন তারাপীঠে পুরোহিতরা ব্যস্ত থাকায় পুজোর সময় এখানে আসতে পারেন না। তবে পুজো শুরু হয়ে গেলেও দক্ষিণগ্রামের রায়বাড়িতে দেবীমূর্তি নির্মাণের কাজ চলছে। সেই প্রতিমাতেই দেবীপক্ষে চক্ষুদান হবে। তারপরেই শুরু হবে মহিষাসুর বধের পর্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.