ছবিতে মরিচকোটার মা দুগ্গা, ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়।
পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির Sangbadpratidin.in৷ আজ রইল আসানসোলের মরিচকোটা গ্রামের আচার্পয, রায় ও চক্রবর্তী বাড়ির দুর্গাপুজোর কথা।
চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: পঞ্চমীর দিন দু’হাজার গ্রাম বা দু’কেজির সোনার গয়নায় সেজে ওঠেন দেবী দুর্গা। গত ১০ বছর ধরে আসানসোলের মরিচকোটা গ্রামের দুর্গাপুজোর মূল আকর্ষণ এই গয়নাই। তবে দশমীর পর ওই গয়নার স্থান হয় ব্যাংকের লকারে।
প্রায় ২০০ বছর আগে মরিচকোটা গ্রামে দুর্গাপুজো চালু করেছিলেন রামদেব রায়। স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি মরিচকোটায় এসে দুর্গা পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম দিকে একাই পুজো করতেন। পরবর্তীকালে পুজো সর্বজনীন রূপ পায়। বর্তমানে আচার্য, চক্রবর্তী ও রায় পরিবারে সদস্যরা মিলেই পুজোর কাজ করে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী; তিনটে ভাগে তিন পরিবার দায়িত্ব নিয়ে করে পুজো। দশমীতে মায়ের আরাধনার যাবতীয় দায়িত্ব পায় গোটা গ্রাম।
মহাপুজোর তিনদিনই বলি প্রথার রেওয়াজ রয়েছে। আর পুজোর দিনগুলিতে মায়ের ভোগ একসঙ্গে পাত পেড়ে খান পঞ্চগ্রামের মানুষ। সময় বদলেছে। বদলেছে পুজোর জাঁকজমক। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ বছর ধরে মায়ের গায়ের গয়নার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কমিটির সভাপতি সোনা রায় বলেন, ‘গত বছর মা দুর্গার মাথায় এক কেজি সোনার মুকুট ছিল। এবছর মায়ের দশটি হাত সাজানো হবে আরও ৩৬ ভরির সোনার চুড় দিয়ে। শুধু মা একা নন, লক্ষ্মী-সরস্বতীর হাতেও থাকবে সোনার গয়না। ভক্তদের ইচ্ছাপূরণের ফলে সোনার গয়না বাড়তে বাড়তে দু’কেজিতে এসে ঠেকেছে। প্রতিমার মুকুট, নাকের, কানের গয়না, সীতাহার, তৃতীয় নয়ন সবই সোনার। এবার জুড়ে গেল হাতের চুড়ও।’
এবছর দু’নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মরিচকোটা গ্রাম পর্যন্ত পুরো রাস্তা সাজানো হবে চন্দননগরের আলো দিয়ে। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত মন্দির চত্বরে থাকবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন টলিউড ও বলিউডের বিশিষ্ট শিল্পীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.