ছবিতে জমিদার বাড়ির প্রতিমা।
পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ রইল খরগ্রামের বালিয়ার বুড়িমার দুর্গাপুজোর কথা।
চন্দ্রজিৎ মজুমদার, খড়গ্রাম: একটা সময় ছিল যখন হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া থাকত। দুর্গাপুজোয় নদীপথে আসত ইলিশ ও আতপ চাল। এখন সবই অতীত ইতিহাস। তবে আজও মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম থানার বালিয়া গ্রামের ‘বুড়িমার দুর্গাপুজো’ পুরাতন রীতিনীতি প্রথা মেনেই হয়ে আসছে। বর্তমানে এই পুজোর জৌলুস কিছুটা কমলেও প্রায় ৫০০ বছর আগেকার জমিদার সূর্যনারায়ণ সিংহের প্রতিষ্ঠা করা পুজো আজও এলাকায় অদ্বিতীয়। আজও এলাকায় ‘চালি কাটা বুড়ি’ নামে বেশি পরিচিত খরগ্রামের বালিয়ার এই ‘বুড়িমার দুর্গা’ পুজো।
বালিয়ার ‘বুড়িমার দুর্গাপুজো’ পরিবারের সদস্য প্রদীপ্ত সিংহ জানিয়েছেন, “প্রায় ৫০০ বছরের উপর এই পুজো হয়ে আসছে এলাকায়। একটা সময় ছিল যখন এই এলাকার জমিদার ছিলেন সূর্যনারায়ণ সিংহ। উনি এলাকার প্রজাদের আবেদন মেনে এই পুজোর সূচনা করেন। পরে একটা সময় এই সিংহ পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে পুজোর দায়িত্ব পান ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। সূর্যনারায়ণ সিংহের এই পুজো অর্ধেক চালি পুজো নামেও পরিচিত। জানা যায়, একটা সময় বর্গীর হামলা চালিয়েছিল খড়গ্রামে। প্রতিমার অর্ধেক চালি কেটে নিয়ে যায় ভিনরাজ্যের দস্যুরা। সেই থেকেই এই পুজো ‘চালি কাটা বুড়ির পুজো’ নামে বেশি পরিচিত। সাত পুতলা এক চালির এই পুজোর একটা সময় মোষ ও ছাগ বলির প্রচলন ছিল। এখন শুধু দু’দিন দুটো ছাগ বলি হয়। মোষ বলি বন্ধ। এছাড়া পুরানো রীতিনীতি, প্রথার সমস্ত কিছু মেনে এই পুজো করা হয়। বিসর্জনের পর অপরাজিতার পুজো করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.