সুমন করাতি, হুগলি: পুজোর (Durga Puja 2024) বাকি আর মাত্র হাতে গোনা কয় দিন। নিজের সাজে সাজছে প্রকৃতি। কাশফুলের মতো আকাশে বাড়ছে সাদা মেঘের আগাগোনা। ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পী ও মণ্ডপ শিল্পীদের। শেষ মহূর্তের প্রস্তুতি চলছে বারোয়ারি পুজো গুলিতেও। ‘প্রাচীন সভ্যতার ইতিবৃত্ত’র থিমে সাজছে হুগলির ব্যান্ডেল কেওটা নবীন সংঘের পুজো।
এই পুজোয় মণ্ডপ সজ্জার মাধ্যমে প্রাচীন সভ্যতার দেব-দেবী এবং তাদের কাহিনীগুলি তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছেন উদ্যোক্তারা। পুজো মণ্ডপে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন দেবতাদের মূর্তি। সেগুলি সিমেন্টের। সেই কংক্রিটকে খোদাই করে নকশা কেটে দেওয়া হচ্ছে দেবতাদের রূপ। মণ্ডপে থাকবে আলোর বিশেষ ব্যবহার।
পুরো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে, পরিবেশবান্ধব উপকরণ বালি, ইট, সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে। উদ্যোক্তাদের মতে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০০ বস্তা সিমেন্ট, কয়েক হাজার ইট এবং এক লরি বালি ব্যবহৃত হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজে। প্রাথমিকভাবে লক্ষাধিক টাকা বাজেট ধরা হলেও তা অনেকটাই ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জুন মাসে খুঁটিপুজো পর থেকে ১৫-২০ জন শিল্পীরা দিন-রাত এক করে মণ্ডপের রূপ দিচ্ছেন। বর্তমানে শিল্পীদের দম ফেলার জো নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চুঁচুড়া শহরের এই পুজোর উদ্যোক্তারা মনে করেন, এ বছরের মণ্ডপ সজ্জা এবং প্রতিমা জেলার তথা রাজ্যের দর্শকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। মণ্ডপের মধ্যমণি হবে তাদের বিশেষ প্রতিমা। এছাড়াও, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই মণ্ডপের মধ্যে গাছ লাগানোর প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে।
পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস বলেন, “প্রায় ৪ মাস আগে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছি আমরা। মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে বালি, ইট, সিমেন্ট দিয়ে। মূলত একটি গুহার মধ্যে বিভিন্ন দেবতার রূপ তুলে ধরা হচ্ছে। নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা কমিটির পক্ষ থেকে নিরাপত্তারক্ষী রাখা হবে।”গত ১০-১৫ বছর ধরে মণ্ডপ ও প্রতিমায় দর্শকদের মন কেড়েছে এই পুজো কমিটি। উদ্যোক্তাদের আশা, এবছরে সেই ধারাবাহিকতাকে অতিক্রম করে নতুন মাইলফলক স্থাপন করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.