পুজোয় শহরে থাকতে মন চাইছে না? আবার বেড়ানোর জন্য হোটেল বুকিং করা নেই। কী করবেন বুঝতে পারছেন না? বুকিং না থাকলেও বেড়িয়ে আসতে পারেন এই ৫ জায়গা থেকে।
কলকাতা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে বিদ্যাধরী নদীর পাশে রয়েছে এক চিলতে গ্রাম। উত্তর ২৪ পরগনার মালঞ্চ গ্রাম। যা বর্তমানে সুন্দরগ্রাম নামে পরিচিত। কীভাবে যাবেন?
সায়েন্স সিটি থেকে বামদিকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরলেই পৌঁছে যাবেন সুন্দরগ্রামে। আর বাসে যেতে চাইলে নামতে হবে রাজেন্দ্রপুরে। গ্রাম্য পরিবেশে কাটিয়ে দিতে পারেন কয়েক ঘণ্টা। রয়েছে ইকো রিসর্ট। সেখানে আগে থেকে বলে রাখলে মিলবে দুপুরের খাওয়া।
পুজোয় ঘুরতে বেড়িয়ে ফুচকা খাওয়া মাস্ট, তাই তো? ১০ টাকায় ১২টা ফুচকা পাওয়া গেলে? কী জিভে জল চলে আসছে তো? তাহলে পুজোর মাঝে বেড়িয়ে আসতেই পারেন ফুচকা গ্রাম থেকে। দই থেকে চিকেন ফুচকা, হরেক কিসিমের ফুচকা মিলবে সেখানে।
ওয়ারলেস মোড় থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কল্যাণীর দিকে এগিয়ে বিবেকানন্দ মোড় থেকে বামদিকে, হালিশহর পেরিয়ে কাঁচরাপাড়া শহিদ পল্লি, আর সেখানেই ফুচকা গ্রাম। নদীর পাড়ে সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে বসে যায় ফুচকার স্টল।
শুধু ফুচকা কেন, পুজোয় স্বাদ নিতে পারেন টাটকা রাবড়ির, তাও আবার জলের দামে। বেড়িয়ে আসুন রাবড়ি গ্রাম। পেটপুজোও হবে আবার শহরের বাইরে মিলবে মুক্ত বাতাস।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কিছুটা গিয়ে ডানদিকে পুরোনো দিল্লি রোড, তারপর গুগল ম্যাপ ফলো করলেই পৌঁছে যাওয়া যায় হুগলি জেলার রাবড়ি গ্রামে। গ্রামের সব বাড়িতেই তৈরি হয় রাবড়ি। আড়াই শো টাকা কেজি দরে মেলে এই মিষ্টি।
বেড়িয়ে আসতে পাড়েন বর্ধমানের নতুন গ্রাম থেকেও। যা 'প্যাঁচা গ্রাম' নামেই জনপ্রিয়। কাটোয়া লোকালে চাপলে নামতে হবে পাটুলি স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো করে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। আর চারচাকায় গেলে বর্ধমান রোড হয়ে এসটিকেকে রোড ধরে পৌঁছতে হবে ছাতনি মোড়ে। ডানদিকে ঘুরলেই পাটুলি স্টেশন। সেখানে থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা এই গ্রাম।
শুধু ঘুরে বেড়ানোই নয়, ঘর সাজানোর সামগ্রীও কিনে ফেলতে পারেন এখান থেকে। অর্ডার দিয়ে এলে বাড়িতে পৌঁছে যাবে ঘর সাজানোর পছন্দের সামগ্রী। আর যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচা দিয়ে পেটপুজো করতে ভুলবেন না।
ঘুরে আসতে পারেন কাটোয়ার শক্তিপীঠ অট্টহাস মন্দির থেকেও। কাটোয়া স্টেশন থেকে অট্টহাস মন্দিরে যাওয়ার বাস মেলে। চাইলে গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে পৌঁছে গেলে মন্দিরের ভোগপ্রসাদও পেতে পারেন। প্রয়োজনে থাকতেও পারেন মন্দির চত্বরের আশ্রমে। তবে দুপুর ২টো থেকে সাড়ে তিনটি পর্যন্ত মন্দিরের দর্শন নিষিদ্ধ।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.