Advertisement
Advertisement
Shinzo Abe

জাপানের সবচেয়ে বেশিদিনের প্রধানমন্ত্রী আবে, নিয়েছেন একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, কেন খুন করা হল তাঁকে?

আবের হত্যাকারীর বাড়িতে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র।

শিনজো আবে জাপানের সবচেয়ে বেশিদিনের প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৯ বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য দু'বার পদত্যাগ করেন তিনি। প্রথমবার ২০০৭ সালে, দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে।

আবের আমলে আমূল বদলে যায় জাপানের অর্থনীতি। তাঁর প্রবর্তিত অর্থনীতি এখনও 'আবেনমিক্স' নামে বিখ্যাত।

আবের আমলে জাপানি সেনার মিলিটারাইজেশন হয়। আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানি সেনা শুধু আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হত। আবের আমলেই নতুন করে শত্রুকে প্রত্যাঘাতের নীতি নেয় জাপান। যে নীতির বহু সমালোচনাও হয় জাপানে।

ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান মিলে যে QUAD গ্রুপ তৈরি হয়েছে, সেটি আসলে আবেরই মস্তিস্কপ্রসূত। প্রশান্ত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসন তিনিই প্রথম অনুধাবন করেন। আমেরিকাকে সে বিষয়ে সতর্কও করেন।

আবের আমলে ভারত-জাপান সম্পর্কের প্রভুত উন্নতি হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলেই আবের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের সোপান। ২০১৪ সালে প্রথম জাপানি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথির ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৭ সালে ভারতের সংসদের যৌথ অধিবেশনেও বক্তব্য রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ২০১৫ সালে আবেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে নিয়ে যান মোদি। সেখানে গঙ্গায় আরতিও করেন তিনি।

শুক্রবার প্রকাশ্যে জনসভায় গুলি করে খুন করা হয় আবেকে। সূত্রের খবর, হামলাকারীর নাম টেটসুয়া ইয়ামাগামি। জাপানের নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী ছিল সে। নিজের হাতে তৈরি বন্দুক নিয়ে মাত্র ১০ ফুট দূর থেকে আবের বুকে গুলি চালায় সে।

ইয়ামাগামির বক্তব্য, আবের নীতি তার পছন্দ নয়। তাই সে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁর বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যক্তি কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়।