কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল ঘিরে রাজ্যজুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। মেসি বনাম এমবাপের লড়াই দেখতে মুখিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে গলা ফাটাতে শুরু করেছেন তাঁরা। ছবি: অরিজিৎ সাহা
কলকাতা তো বটেই, অন্যান্য জেলাতেও চড়েছে উত্তেজনার পারদ। হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিনে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চুঁচুড়ায় স্টার ক্লাবের মাঠে লাগানো হয়েছে মারাদোনা ও মেসির ফ্লেক্স-সহ আর্জেন্টিনার গোটা টিমের ছবি। দুপুর থেকেই ক্লাবের আর্জেন্টিনা ভক্তরা পিকনিকের মধ্যে দিয়ে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছেন।
আলিপুরদুয়ারের দশম শ্রেণির ছাত্র সায়ন সাহা হল মেসির বড় ভক্ত। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচ মিস করেনি সে। নিজের প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হোক, মেসির হাতেই উঠুক কাপ- এই প্রার্থনা করে একটি ছবিও এঁকেছে সে। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে কানের দু'পাশে হাত রেখে পোজ দিয়েছিলেন মেসি। সেই দৃশ্যই ধরা পড়েছে সায়নের ছবিতে।
প্রায় এক মাস ধরে চলা মহাযুদ্ধের আজই শেষ। আর চূড়ান্ত লড়াই দেখানোর জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা হয়েছে। ম্যাচ দেখা ঘিরে রঙিন হয়ে উঠেছে পরিবেশ। ছবি: অরিজিৎ সাহা
হুগলির চন্দননগর যা একসময় ফরাসডাঙা নামে পরিচিত ছিল, সেই চন্দননগরের নানা স্থানে ফ্রান্সের জয় কামনা করে চলছে প্রার্থনা। চন্দননগর স্টেশন রোড এলাকার স্থানীয়রা ফরাসি তারকা এমবাপের মডেলকে সাক্ষী রেখে যজ্ঞও করলেন।
কলকাতার অলি-গলিতে উড়ছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের পতাকা। টালিগঞ্জে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ফেভারিট দলকে সমর্থন জানানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। ছবি: অরিজিৎ সাহা
চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে দেখা গিয়েছে আর্জেন্টিনা। একের পর এক ম্যাচে ফুল ফুটিয়েছেন এলএম টেন। তবে বিশ্বকাপ জিতবে ফ্রান্সই। এমনটাই আশা এমবাপে সমর্থকদের। ২০১৮-র পর ফের বিশ্বজয়ী হবে ফ্রান্স। প্রার্থনা তাঁদের।
চুঁচুড়ার এক বেসরকারি নার্সিংহোমের আইসিইউ-ও বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের এদিন সকাল থেকেই মন খারাপ ছিল। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ফাইনাল দেখার আবেদন জানান তাঁরা। রোগীদের সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে পারেনি নার্সিংহোম।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.