মনের কালিমা ঘুচিয়ে যেন আলোয় ভরিয়ে তোলেন মা। এ প্রার্থনা সকল ভক্তের। ব্যতিক্রমী নয় ত্রিভুবন ক্লাবও। সকল বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে ৪০ তম বর্ষে দর্শকদের চমক দিতে প্রস্তুত তারা।
এবারের বিষয় ভাবনাতেও রয়েছে নতুনত্ব। বাস্তুশাস্ত্র ও বাস্তুতন্ত্রের 'দ্বন্দ্বে' কীভাবে বিপন্ন হচ্ছে প্রকৃতি, সে বিষয়টিই ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী সুমিত বিশ্বাস ও সদস্যবৃন্দ।
দুর্গাপুজোর পর মাঝে সময় মিলেছে মাত্র কয়েকটা দিন। তার মধ্যেই নিজের শৈল্পিকসত্তাকে ফের জাগ্রত করে মাঠে নামেন সুমিত বিশ্বাস। তারই ফসল ত্রিভুবন ক্লাবের এই মণ্ডপসজ্জা।
মানুষের জীবনযাত্রা এবং প্রয়োজনের সঙ্গে বাস্তুশাস্ত্রের ব্যবহার জীবনধারার উন্নতি ঘটিয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে বাস্তুতন্ত্রের উপর ভীষণ বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। কারণে-অকারণে বাস্তুশাস্ত্রের প্রয়োগে যেমন বনভূমি ধ্বংস, জমির অতি ব্যবহার, জলাশয়ের বব্ধকরণের ঘটনা ঘটছে, তেমনি এই প্রক্রিয়াগুলি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
সরশুনা এলাকার এই পুজোর উদ্যোক্তারাও আশাবাদী, এহেন থিম যেমন দর্শকদের নজর কাড়বে, তেমন ভাবাবেও।
এখানে ধরা পড়েছে দেবী কালীর প্রলয়ঙ্কারী রূপ। দক্ষিণ দিক থেকে আসা কোনও এক বিরাট মহাপ্রলয়ের কড়াল রূপের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এখানে দেবী শুভ অশুভের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের ঔদ্ধত্যকেই বিনাশ করতে এসেছেন।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.