Advertisement
Advertisement

উৎসবের চাকচিক্যে ফ্যাকাসে উপাসনা! শক্তির আরাধনায় এবার ‘উপচার’ ফিরছে এই পুজোয়

আরাধনার আক্ষরিক অর্থ মনে করাবে এই পুজো। ছবি: শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়।

কালীপুজোর জাঁকজমক বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বারাসত কিংবা অশোকনগরের কথা। কিন্তু কলকাতাও যে কোনও অংশ কম যায় না, তার দৃষ্টান্তও রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। যেমন এশহরে থিমপুজোগুলির অন্যতম লালকুঠি পার্থনগরী নেতাজি সংঘ।

শক্তির আরাধনায় ৪৮ বছরে পদার্পণ করল এই পুজো। বছর ঘুরলেও শিল্পী কিন্তু বদলায়নি। এবারও সঙ্গী শিল্পী শিবশংকর দাস।

তাঁর এবারের বিষয় ভাবনা কী? শিল্পী জানাচ্ছেন, বর্তমানে পূজো মানেই হই-হুল্লোড় আর উৎসব । মানুষ ভুলতে বসেছে আরাধনার আক্ষরিক অর্থ। এই যন্ত্র সভ্যতার সঙ্গে পথ চলতে চলতে দূর সরে যাচ্ছে পুজোর উপকরণগুলি।

সেই কারণেই এবার মণ্ডপসজ্জার মধ্যে দিয়ে পুজোর উপকরণগুলি ফিরিয়ে এনেছেন শিল্পী। যার আভিধানিক অর্থ উপচার। হিন্দুধর্মে পুজোর অংশ হিসেবে দেবতার অর্পিত অর্ঘ্য ও সেবাকেই বলা হয় উপচার। যা একটি সংস্কৃত শব্দ।

কী সেসব উপকরণ? দীপ, সুগন্ধ, বস্ত্র, ধুনুচি প্রভৃতি হল উপচারের উপাদান। এসবের উপস্থিতিতে মণ্ডপজুড়েই তাই তৈরি হয়েছে আধ্যাত্মিক পরিবেশ। যা দর্শককে দেবে এক অদ্ভুত প্রশান্তি।

উদ্যোক্তাদের আশা, শিবশংকর দাসের হাত ধরেই ক্লাবে পুরস্কারের ভান্ডার পরিপূর্ণ হবে। তবে তাঁরা চান, এই আরাধনার যেন দর্শকদের স্মৃতিতে বহু বছর থেকে যায়।