মালগাড়ি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে একসঙ্গে তিন ট্রেন কীভাবে? দুর্ঘটনাই বা কীভাবে ঘটল? অবশেষে ব্যাখ্যা দিল রেল। জানিয়ে দিল, এক লাইনে তিনটে ট্রেন আসেনি। বা হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে করমণ্ডলের সরাসরি কোনও সংঘর্ষ হয়নি। মূল দুর্ঘটনা করমণ্ডল এবং মালগাড়ির। সিগন্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং পয়েন্টারের সমস্যার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে রেল। গ্রাফিক্স: অর্ঘ্য চৌধুরী
বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে করমণ্ডল এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিমি বেগে। সেসময় অন্য লাইনে হাওড়ার দিকে ১২৬ কিমি ঘণ্টা বেগে আসছিল হামসফর এক্সপ্রেস। লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। গ্রাফিক্স: অর্ঘ্য চৌধুরী
আপ লাইনে অর্থাৎ চেন্নাইগামী করমণ্ডলের লাইনে সিগন্যাল দেওয়া ছিল। রেল সূত্রের দাবি, সিগন্যাল পেয়ে নির্ধারিত গতিতেই ট্রেনটি এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আপ লাইনের ইন্টারলকিং পয়েন্টার ঘোরানো ছিল লুপ লাইনের দিকে। সেই পয়েন্টারের জন্যই ট্রেনটি ঘুরে যায় লুপ লাইনের দিকে। গ্রাফিক্স: অর্ঘ্য চৌধুরী
এরপরই ওই ১২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটিকে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হামসফর এক্সপ্রেস তখনও নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। মূল দুর্ঘটনায় হামসফরের কোনও হাত ছিল না। গ্রাফিক্স: অর্ঘ্য চৌধুরী
প্রবল বেগে মালগাড়িতে ধাক্কা মারায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওয়াগনের উপর উঠে যায়। বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় বাকি কামরাগুলি। এমনই একটি বা দুটি কামরা এসে ধাক্কা মারে হামসফরের শেষ দুটি কামরায়। সেই দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। অন্যদিকে, বেশি ভারী হওয়ায় মালগাড়ির তাতে বিশেষ ক্ষতি হয়নি। গ্রাফিক্স: অর্ঘ্য চৌধুরী
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করমণ্ডলের চালক দাবি করেছেন, তিনি কোনও সিগন্যাল ভাঙেননি। প্রশ্ন উঠছে, পয়েন্টারের গোলমাল হল কী করে? কারও গাফিলতি নাকি নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র? তদন্ত করছে রেল।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.