ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে মুড়ি চেয়ে নেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আউশগ্রামের তেলোতা গ্রামের যুব তৃণমূল কর্মী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় মুড়ির বস্তাটি বাড়িয়ে দেন।
আদতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিল, কেন্দ্র সরকারের নতুন জিএসটি নির্দেশিকা নিয়ে আক্রমণ শানানো। তবে সমাবেশের পর থেকে সুপারহিট মুড়ি।
মুড়ির বস্তাটি পরম যত্নে কোলে নিয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফেরেন যুব তৃণমূল কর্মী। কারও আবদার, “সব মুড়ি যেন নিজের গ্রামে বিলি করে দিস না। আমার জন্য রাখিস।” কারও আবদার, “দেবাশিসদা মায়ের খুব ইচ্ছা দিদির আশীর্বাদ মাখা মুড়ি খাবেন। মায়ের জন্য দু-চারটে ওই মুড়ি রেখো।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছোঁয়া মুড়ি প্রসাদতুল্য মনে করে বিতরণ করা হল এলাকায়। ধর্মতলার সভা ফেরত মুড়ি মেশানো হয় আরও এক বস্তা মুড়ির সঙ্গে।
তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয়রা একসঙ্গে খান মুড়ি। সঙ্গে ছিল কুমড়োর তরকারি, মিষ্টি। কপালে সবুজ আবিবের টিপ পরে উৎসবের মেজাজে সময় কাটালেন স্থানীয়রা।
দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “দিগনগর ১ নম্বর অঞ্চলের ১০ টি বুথেরই কর্মীদের প্রসাদী মুড়ি গ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনেকেই ফোন করে এই মুড়ির জন্য আবদার করেন।”
আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি দেবাঙ্কুর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের নেত্রী কতটা সাধারণ জীবনযাপন করেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কতটা মিশে থাকতে পছন্দ করেন। এটা তারই প্রমাণ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলের কাছে আদর্শ।”
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.