আরব সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার গুজরাটে দেশের বৃহত্তম কেবল ব্রিজ উদ্বোধন করলেন তিনি। এর পরই দ্বারকায় পুজো দেন।
এদিন দ্বারকায় গিয়ে স্কুবা ডাইভিংও করলেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। কিন্তু কী করতে স্কুবা ডাইভ করলেন মোদি?
মনে করা হয়, দ্বারকা শহরের ধ্বংসাবশেষ এখনও সমুদ্রের নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। স্কুবা ডাইভিং এর মধ্যে দিয়ে জলের তোলায় ডুব দিয়ে দ্বারকার সেই ধ্বংসাবশেষই দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সারলেন পুজোও।
তাঁর স্কুবা ড্রাইভিংয়ের কিছু ছবিও তুলে ধরেছেন। মোদির পরনে গেরুয়া পাঞ্জাবি, তার উপর চাপানো ছিল গেরুয়া মোদি কোট। জলের তলায় দ্বারকার দর্শনে যাওয়ার জন্যে কোমরে বেঁধেছিলেন ময়ূরের পালক।
নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে সেই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি লিখেছেন, "এটা এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। আমি আধ্যাত্মিক মহিমা এবং প্রাচীন যুগের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করেছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সকলের মঙ্গল করুন।"
গুজরাট উপকূলে স্কুবা ডাইভিং বেশ জনপ্রিয়। জলে ডুব দিয়ে প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ চাক্ষুষ করেন অনেকে। আজ মোদিও জলে নামেন।
স্কুবা ডাইভিংয়ের আগে দ্বারকাদিস মন্দিরেও পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। অঞ্জলি দেন তিনি।
গুজরাটে দ্বারকানগরীর পৌরাণিক গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেখানকার বাসিন্দা। দ্বারকার পত্তন তাঁর হাতেই। সমুদ্রের দেবতার কাছে দ্বারকা নগরীর জন্য পরামর্শ চেয়েছিলেন। সেই মতো শ্রীকৃষ্ণকে দ্বারকা নগরী তৈরির জন্য জমি দেন সমুদ্রের দেবতা।
কথিত রয়েছে, দ্বারকা নগরীর নির্মাণে স্বর্গীয় ভাস্কর্যের ছোঁয়া ছিল। সেটিকে ‘গোল্ডেন সিটি’ বা ‘স্বর্ণনগরী’ বলা হত।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ স্বর্গে পাড়ি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বারকা নগরী জলে তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই দ্বাপর যুগের সমাপ্তি ঘটে।
নতুন ও পুরনো দ্বারকার মধ্যে সংযোগ সাধন করবে এই ২.৩২ কিমি দীর্ঘ সেতুটি। যা নির্মাণে খরচ পড়েছে ৯৭৯ কোটি টাকা।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.