Advertisement
Advertisement
Tarpan

অতিমারী উপেক্ষা করেই মহালয়ার ভোর থেকে গঙ্গার ঘাটে তর্পণের ভিড়, দেখুন অ্যালবাম

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধরা পড়ল একই ছবি।

তর্পণ শব্দটি এসেছে ত্রুপ থেকে। এর মানে সন্তুষ্ট করা। ভগবান, ঋষি ও পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে জল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করাকে তর্পণ বলা হয়। ভগবান ও পূর্বপুরুষের আত্মার নাম উচ্চারণ করে তাঁদের কাছে সুখ-শান্তি প্রার্থনা করা হয়। করোনা কালেও তার ব্যতিক্রম হল না। ভোর থেকেই ভিড় গঙ্গার ঘাটে।

পিতৃ ও মাতৃ তর্পণের সময় জল, তিল, চন্দন, তুলসীপাতা ও ত্রিপত্রী আর অন্যান্য তর্পণের সময় তিলের পরিবর্তে ধান বা যব ব্যবহার করা হয়। আর চন্দন, তিল ও যব না থাকলে কুরুক্ষেত্র মন্ত্র পাঠের জলে তুলসী পাতা দিয়ে তর্পণ করতে হয়। এদিন সে ছবিই ধরা পড়ল কলকাতার গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে।

তিল তর্পণ মানে জল ও তিল একসঙ্গে নিয়ে পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে নিবেদন করতে হয়। পিতৃতর্পণের সময় অবশ্যই তিল ব্যবহার করতে হয়। আর তা কালো তিল হতে হয়। তিল না থাকলে শুধু কুরুক্ষেত্র মন্ত্র পাঠে জলে তুলসী পাতা দিয়ে তর্পণ করা হয়। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে সেই সব রীতি মেনেই আজ পূর্বপুরুষদের স্মরণ করল পরিবার।

সনাতন ধর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষের সূচনা হয়। মানুষের বিশ্বাস, এসময় পূর্বপুরুষরা পিতৃলোক ছেড়ে তাঁদের উত্তরপুরুষদের বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে প্রবেশ করলে তাঁরা পুনরায় পিতৃলোকে ফিরে যান। পিতৃগণের অবস্থানের প্রথম পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। মারণ ভাইরাস উপেক্ষা করেই মহালয়ায় তর্পনের ভিড়।

মহালয়া পক্ষের পনেরোটি তিথি আছে। তাদের নাম হল, প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী, চতুর্দশী ও অমাবস্যা। সনাতন মতে, যে ব্যক্তি তর্পণে ইচ্ছুক হন, তাঁকে তাঁর পিতার মৃত্যুর তিথিতে তর্পণ করতে হয়। তবে অমাবস্যার দিন তিথি না থাকলেও সব পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধ করা হয়। বুধবার জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতেও ধরা পড়ল এক দৃশ্য।

মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে বিজেপির সকল শহীদের আত্মার শান্তির কামনা এবং পিতৃ পুরুষের উদ্দেশে বিধি পূর্বক তর্পণ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।