ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনায় হিন্দুদের অতি প্রচলিত উৎসব ভাইফোঁটা। কোথাও আবার তার নাম 'ভাইদুজ'। লক্ষ্য কিন্তু একটাই, ভাই-বোনের বন্ধন আজীবন বজায় রাখা। নেতা-মন্ত্রী, সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা, এই দিনটা সকলেই ভাই বা বোনদের সঙ্গে কাটিয়ে থাকেন। রাজ্যের গুরু দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, তাঁরাও এই উৎসবে শামিল হওয়া থেকে সাধারণত বিরত থাকেন না। রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীদের ভাইফোঁটা পালনের সেই খণ্ডচিত্র রইল এই অ্যালবামে। নিজস্ব ছবি।
সকালবেলায় সিঙ্গুরের রতনপুর গ্রামের বাড়িতে দিদিদের থেকে ফোঁটা নিয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। সারা বছর ব্যস্ততার মধ্যে কাটলেও আজকের দিনটি পরিবারকেই দিয়েছেন তিনি। দুপুরে পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরেছেন মন্ত্রী। ছবি: সুমন করাতি।
ফোঁটা নিয়ে মন্ত্রী বেচারাম বলেন, "সারা বছর এই দিনটার অপেক্ষায় থাকি। আজকের দিনে সকলের সঙ্গে দেখা হয়।" ছবি: সুমন করাতি।
বাড়িতেই ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিধাননগরের বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। আত্মীয় বোনেরা তাঁকে বাড়িতে ফোঁটা দেন। মন্ত্রী জানান,"প্রতি বছর আমার বোনেরা তিলক দেন। এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি। দিদির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তাই ওঁর বাড়িতে গিয়েই ফোঁটা নেব।"
দিদি ও বোনেদের থেকে ফোঁটা নিলেন আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও। এদিন আসানসোলের চেলিডাঙায় পৈতৃক বাড়িতে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী জানান,"ব্যস্ততা যতই থাকুক, বছরের এই বিশেষ দিনে আসানসোলের বাড়িতে ফিরে আসি।"
বর্ধমানে নিজের বাড়িতে ফোঁটা নিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল এবার ভাইফোঁটা পালন করলেন একটু ব্যতিক্রমীভাবে। বড়ডাঙা গ্রামে আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়া করমডাঙায় ভাইদের ফোঁটা দেন। গ্রামের মহিলাদের শাড়ি, চাদর উপহার তুলে দেন বিধায়ক।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.