২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কেকেআরে খেলেছেন সূর্য কুমার যাদব। সহ-অধিনায়কও ছিলেন। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে গিয়েই সাফল্যের শিখরে ওঠেন স্কাই। ব্যাটিং অর্ডার বদলেই সাফল্য পেয়ে জায়গা করে নেন ভারতীয় দলেও।
কেকেআরেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন শুভমান গিল। তা সত্ত্বেও ২০২১ সালে নিলামের আগে তাঁকে রিটেন করেনি নাইট ম্যানেজমেন্ট। গুজরাট টাইটান্সে গিয়ে একের পর এক ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন তরুণ তুর্কি। এখন গুজরাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিল।
দু দফায় মোট পাঁচটি মরশুমে কেকেআরে ছিলেন প্যাট কামিন্স। তবে ২০ কোটিরও বেশি দামে ২০২৪ সালে তাঁকে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই দলেই প্রথমবার আইপিএলে নেতৃত্ব দেন অজি তারকা। কামিন্সের অধিনায়কত্বে আইপিএল ফাইনালে ওঠে অরেঞ্জ আর্মি।
মাত্র দুবছর কেকেআরে ছিলেন ক্রিস গেইল। সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ইউনিসভার্স বস। ২০১১ সালে আরসিবিতে যোগ দিয়ে তিনি একের পর এক নজির গড়েছেন ব্যাট হাতে। পাঞ্জাব কিংসে গিয়েও স্বমহিমায় ঝোড়ো ইনিংস খেলতেন গেইল।
আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের অবিস্মরণীয় ১৫৮ রানের ইনিংসের পরেও সেভাবে সাফল্য মেলেনি নাইট জার্সিতে। পরে চেন্নাই সুপার কিংস, গুজরাট লায়ন্স এবং আরসিবিতে গিয়ে প্রচুর রান পেয়েছেন কিউয়ি তারকা। পরে অবশ্য কেকেআরের কোচ হয়েছিলেন ম্যাকালাম।
২০১৭ সালে ট্রেন্ট বোল্টকে দলে নেয় কেকেআর। পরের মরশুমেই ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তার পরে মুম্বই ইন্ডিয়ানসে গিয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন বোল্ট। জিতেছেন আইপিএল। রাজস্থান রয়্যালসে গিয়েও প্রচুর উইকেট পেয়েছেন কিউয়ি তারকা।
২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল কুলদীপ যাদবকে। তার পরে দিল্লি ক্যাপিটালস কিনে নেয় তারকা লেগস্পিনারকে। ২০২২ আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপক হন তিনি।
২০১২ সালের সঞ্জু স্যামসনকে দলে নেয় কেকেআর। একটাও ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামানো হয়নি। পরের বছর থেকে রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দিয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন সঞ্জু। অধিনায়কের দায়িত্বও সামলেছেন।
২০১৩ আইপিএলে দলে নেওয়ার পরে মহম্মদ শামিকে মাত্র তিনটে ম্যাচ খেলিয়েছিল কেকেআর। তার পর থেকে আইপিএলে ১০৬টি উইকেট পেয়েছেন বঙ্গ পেসার। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে জিতেছেন আইপিএলও।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.