আলোর রোশনাইয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই সেই শহরের আলোকসজ্জাতেই সজ্জিত হুগলির বাঁশবেড়িয়া। উপলক্ষ কার্তিক পুজো। গঙ্গা তীরবর্তী এই শহর প্রতিবছর কার্তিক সংক্রান্তি ও রাসপূর্ণিমার পূণ্য তিথিতে উৎসবে মেতে ওঠে।
ফরাসি আমলে সাতটি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় সপ্তগ্রাম। তার মধ্যে একটি বাঁশবেড়িয়া। তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে কার্তিক পুজো হয়ে আসছে এই এলাকায়। সবচেয়ে প্রাচীন পুজোর বয়স ৩৭৮ বছর!
বাঁশবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাবু কার্তিক, জামাই কার্তিক, জ্যাংরা কার্তিক-সহ নানা ধরনের কার্তিকের পুজো হয়। পুজো মণ্ডপগুলোও বিভিন্ন থিম, আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে।
বাঁশবেড়িয়ায় কোনও পুজোর বয়স ৩৭৮! কোনওটার ৩০০। আবার কোনওটা আড়াই আড়াইশো বছরের প্রাচীন। প্রাচীনত্বের সঙ্গে মিশেছে নতুনত্ব। এখানকার কার্তিকপুজোর জৌলুস আরও বেড়েছে। নাম ছড়িয়ে রাজ্যজুড়ে।
চন্দননগরের আলো, মেদিনীপুরের থিমের মণ্ডপ, সব মিলিয়ে বাঁশবেড়িয়ার চারদিনের উৎসব জমজমাট। বর্তমানে শতাধিক পুজো হয় সাহাগঞ্জ বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে।
এখানকার পুজো শুধু কার্তিক পুজোতেই সীমাবদ্ধ নেই। রাসপূর্ণিমায় মহাদেব, কৃষ্ণ, সন্তোষী মা, গণেশ, ভারতমাতা, নটরাজ দেবতারও পুজো হয়।
বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ গিরিধারী মিত্র বলেন, "বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজো বিখ্যাত। এখানে ৩৩ কোটি দেবতা দেখা যায়। কার্তিক পুজো হলেও রাসের মতো নানা দেবতার পুজো দেখা যায়। সারারাত ধরে মানুষ ঠাকুর দেখে।" ১৯ তারিখে বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বির্সজন হবে।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.