কালীপুজোয় ঝলমলে শহর, আলোয় সেজে উঠেছে কলকাতা। শিল্পীদের সৃজনে সেজেছে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপ। আর সুরের ছন্দে নস্ট্যালজিয়া বেলেঘাটা কর্মী সংঘের পুজোয়।
উত্তর কলকাতার এই পুজো কমিটি প্রতিবছরই দর্শকদের সামনে নতুন বিষয় ভাবনা তুলে ধরার চেষ্টা করে। ৮১তম বর্ষে তাদের উপহার হারানো সুরে সুন্দরী মা।
ক্লাব কর্তারা জানাচ্ছেন, উত্তর কলকাতায় এই ক্লাবেই প্রথমবার সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন কিংবদন্তি মহম্মদ রফি। চলতি বছর সেই অনুষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি। তাঁকে ও বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের সম্মান জানিয়েছে এই পুজো মণ্ডপ।
এবার এই পুজোর দায়িত্বে শিল্পী অগ্নিশ হালদার। তিনি বলছেন, বেতার, ক্যাসেটের যুগকে পিছনে ফেলে এগোচ্ছে সময়। ফেলে আসা স্বর্ণযুগের শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, অসংখ্য বাদ্যযন্ত্রের হারানো দিনকে স্মরণ করেই এই মণ্ডপের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর থেকে প্রবাদপ্রতিম আর ডি বর্মন-সহ কিংবদন্তিরা রয়েছেন মণ্ডপজুড়ে। ফিরেছে স্বর্ণযুগের সব জনপ্রিয় গানও। সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছে তবলা, বীণা, একতারার মতো বাদ্যযন্ত্রও।
প্রতিমার রূপ সাবেকি। সোনালি সাজে সাজানো হয়েছে মাকে। সঙ্গে রয়েছে দেবীর সাগরেদরা। মনের কালিমা মুছে চারিদিক আলো করুক মা কালী। এই পুজোয় প্রার্থনা সকলের।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.