দেহদান মহৎদান। বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য মরণোত্তর দেহদান অতি গুরুত্বপূর্ণ। এনআরএস হাসপাতালের আগামীর ডাক্তারদের সেই পাঠই দিলেন সিনিয়ররা।
মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার ‘গণদর্পণ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণে এদিন সইসাবুদ করেননি। তবে আগামীতে নিশ্চয়ই করবেন। আগামী প্রজন্মকেও এই কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। ‘মৃত্যুই শেষ কথা নয়’ শিরোনামের বই প্রকাশ করে তিনিও মরণোত্তর দেহদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১০ জানুয়ারি ১৮৩৬ ভারতবর্ষে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন পন্ডিত মধুসূদন গুপ্ত। দিনটি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান দিবস’ হিসেবে বিবেচিত। আর এই দিনটিকেই স্মরণে রেখেই মরণোত্তর দেহদান নিয়ে পাঠ দেওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে।
চিকিৎসক ও নার্সরা শব ব্যবচ্ছেদ নিয়ে নানা পাঠ দেন হবু ডাক্তারদের। শবদেহ সামনে রেখে বোঝানো হয় খুঁটিনাটি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠান এনআরএস হাসপাতালে হাজির ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.