চারদিকে ঝলমলে আলো। চন্দননগর জুড়ে যেন আলোর বর্ণছটা। মায়াবী রূপ পেয়েছে এই শহর। সঙ্গে অভিনব মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা তাক লাগাচ্ছে। এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই শহরে যাবেন ভাবছেন? তবে অনেক পুজোর মধ্যে কোনগুলো দেখবেন ঠাওর করতে পারছেন না? ছবিঘরে তুলে ধরা হল পাঁচটি পুজো। যা প্যান্ডেল হপিংয়ের তালিকায় রাখতেই পারেন।
চন্দননগর স্টেশনে নেমেই খলিসানী সর্বজনীনের জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রতিবছর এই পুজো কমিটি মণ্ডপসজ্জায় দর্শনার্থীদের তাক লাগিয়ে দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাঁশ ও বেতের কারুকার্য রয়েছে এবারের মণ্ডপে।
এই পুজো কমিটির প্রতিমায় রয়েছে সাবেকিয়ানা। শোলার সাজে সুউচ্চ প্রতিমা নজর কাড়বে।
গঙ্গাপাড়ের এই শহরে ঠাকুর দেখার তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে দৈবকপাড়া সর্বজনীনের পুজো। ৫২তম বর্ষের এই পুজো সেজেছে তাঁতের শাড়ির কারুকার্যে। থিমের নাম 'আঁচল'। শিল্পী বিমল সামন্তের হাতের ছোঁয়ায় সেজে উঠেছে মণ্ডপ।
থিমের সঙ্গে মানিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। মায়ের ধ্যানমগ্ন রূপ নজর কাড়তে বাধ্য।
চন্দননগরের অন্যতম জনপ্রিয় উর্দিবাজার সর্বজনীনের পুজো। এবার তাদের ৬২ বছর। প্রতিবছরই এই কমিটি কিছু না কিছু চমক দেয়। এবার ৮হাজার গাছ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। শিল্পী প্রশান্ত পাল এই মণ্ডপ সাজিয়েছেন। রাজ্যের পরিবেশ দপ্তর এই গাছগুলি দত্তক নিয়েছে। গাছেদের পরিচর্যার দায়িত্ব নিয়ে পরিবেশরক্ষার বার্তা দিল রাজ্য সরকার।
উর্দিবাজার পুজো কমিটির প্রতিমায় থাকছে বিশেষ চমক। এখানে প্রতিমাতেই ধরা দিয়েছে থিম। মহিষাসুরমর্দিনীর দৃশ্য ফুটে উঠেছে প্রতিমার চালচিত্রে।
থিমের পুজোর থেকে বনেদি বা সাবেকিয়ানা বেশি পছন্দের? তাহলে আপনার গন্তব্য হোক চাউলপট্টির আদিমার পুজো। চন্দননগরের প্রাচীনতম পুজো এটি। ৩৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পুজো হয়ে আসছে।
কথিত আছে, আদিমার কাছে যাঁরা মানত করেন তাঁদেরকে খালি হাতে ফেরান না দেবী। থিমের রমরমার মাঝে আজও সাবেকিয়ানা বজায় রেখেছে এই পুজো।
চন্দননগরের বড় পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম মধ্যাঞ্চল সর্বজনীনের পুজো। প্রতিবারের মতো এবারেও এখানকার প্রতিমায় রয়েছে সাবেকিয়ানা। মায়ের রূপ মনমুগ্ধ করবে।
মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমার পাশাপাশি নজর কাড়বে এখানকার আলোকসজ্জাও।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.