Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sreela Majumdar

অপ্রাপ্তিই বেশি ছিল শ্রীলা মজুমদারের, স্মরণসভায় আক্ষেপ কাছের মানুষদের

দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন অভিনেত্রী। গত ২৭ জানুয়ারি প্রয়াত হন।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন শ্রীলা মজুমদার। লড়াই থামে গত ২৭ জানুয়ারি। সেদিনই প্রয়াত হন মৃণাল সেনের মানসকন্যা। শুক্রবার নন্দনে অভিনেত্রীর স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল।

মৃণাল সেনের হাত ধরেই সিনেমা জগতে শ্রীলা মজুমদারের পথ চলা শুরু হয়েছিল। সেই মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি ‘পালান’ তাঁর শেষ সিনেমা। যেন এক বৃত্ত সম্পূর্ণ করে গেলেন শ্রীলা। অভিনেত্রীর নানা কথা এদিন স্মরণ করা হয়। শোকবার্তা তুলে দেওয়া হয় তাঁর ছেলে সোহেলের হাতে।

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, রেশমি মিত্র, চৈতি ঘোষাল-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং শ্রীলা মজুমদারের গুণমুগ্ধরা। অভিনয়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা জানান অনেকে।

শ্রীলা মজুমদারকে নিজের দিদির স্থান দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিনেত্রীর ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তার পরই আক্ষেপের সুরে জানান, নন্দিতা দাস তাঁকে মেসেজে লিখেছিলেন, শ্রীলা মজুমদার তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি।

নাটকের মহড়া থেকে শ্রীলা মজুমদারকে প্রথম আবিষ্কার করেন মৃণাল সেন। অভিনেত্রীর প্রথম ছবি 'পরশুরাম'। তার পর 'একদিন প্রতিদিন', 'আকালের সন্ধানে', 'খারিজ', 'চোখ', 'আরোহণ', 'মাণ্ডি'র মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন শ্রীলা। এই স্মৃতি অনুরাগীদের সম্পদ হয়ে থেকে যাবে। ছবি: সুপর্ণা মজুমদার।