দেশজুড়ে কংগ্রেসের রক্তক্ষয় অব্যাহত। গত পাঁচ মাসে 'হাত' ছেড়েছেন পাঁচ হাই প্রোফাইল নেতা। সেই সঙ্গে দলের দৈন্যদশা নিয়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্যও করেছেন দলত্যাগীরা।
কপিল সিব্বল: কংগ্রেসের সর্বশেষ এবং সাম্প্রতিক অতীতের সর্ববৃহৎ ধাক্কা কপিল সিব্বলের দলত্যাগ। সিব্বল প্রায় ৩ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ১৬ মে দল ছেড়েছেন বলে দাবি বর্ষীয়ান আইনজীবী নেতা। সপার সমর্থনে নির্দল হিসাবে রাজ্যসভায় যাবেন তিনি।
সুনীল জাখর: পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখর ভোটের আগে থেকেই বেসুরো ছিলেন। আসলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুপ্ত বাসনা ছিল তাঁর মধ্যেও। দলত্যাগের আগে জাখর অভিযোগ করেন, হিন্দু বলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি তাঁকে। দিন কয়েক আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
হার্দিক প্যাটেল: চলতি মাসের শুরুতেই কংগ্রেস ছেড়েছেন তরুণ পাটিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল। তাঁর দাবি ছিল, গুজরাট কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা মানুষের সমস্যার থেকে দিল্লির নেতাদের 'চিকেন স্যান্ডউইচ' খাওয়ানো নিয়ে বেশি চিন্তিত। হার্দিক এখনও অন্য কোনও দলে যোগ দেননি। তবে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে রয়েছেন তিনি।
অশ্বিনি কুমার: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনি কুমারও পাঞ্জাব ভোটের আগেই কংগ্রেস ছাড়েন। দল ছাড়ার আগে তাঁর সাফ বক্তব্য ছিল, 'কংগ্রেস অবলুপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে।' ছেলে পাঞ্জাব নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় এই প্রবীণ নেতা দল ছাড়েন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরপিএন সিং: রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের নেতা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের আরপিএন সিং। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। বিজেপির টিকিটে বিধানসভা ভোটে জিতেও এসেছেন আরপিএন। দল ছাড়ার আগে তাঁর বক্তব্য ছিল, কংগ্রেস আর আগের মতো নেই।
কংগ্রেসের অবশ্য দাবি এই নেতাদের অধিকাংশেরই জনভিত্তি নেই। তাই এদের দলত্যাগে বিশেষ সমস্যা হবে না দলের।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.