ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি হোক কিংবা একদিনের বিশ্বকাপ, সব ট্রফিই হাতে উঠেছে তাঁর। আবার চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতেও জিতেছেন পাঁচটি আইপিএল ট্রফি। বেশ কিছু ম্যাচে কার্যত খাদের কিনারা থেকে জয় ছিনিয়ে আনায় নির্ণায়ক ভূমিকা ছিল তাঁর সাহসী সিদ্ধান্তের। এক নজরে সেগুলি দেখে নেওয়া যাক। ২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভারে যোগিন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দেন ধোনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
এক দিনের ক্রিকেটে নেতৃত্বে আসার পরই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়দের মতো সিনিয়রদের বসিয়ে দেন ধোনি। বিতর্ক হলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ধীরে ধীরে ধোনি যুগের সূচনা হয়।
২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। ৯১ রানে অপরাজিত থেকে, ছয় মেরে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতান। কুলশেখরকে মারা ছক্কা ভারতীয় ক্রিকেটের আইকনিক দৃশ্য হয়ে গিয়েছে।
২০১২-১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক সিরিজে শচীন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও গৌতম গম্ভীরকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলান। মূলত ফিল্ডিংয়ে তাঁদের ধীরগতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেন ধোনি।
২০১৩ সালে রোহিত শর্মাকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে তুলে আনেন ধোনি। তারপরই ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রোহিত।
ডিআরএসের সিদ্ধান্তে বহু ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন ধোনি। একসময়ে ডিআরএস মানে বলা হতো ধোনি রিভিউ সিস্টেম। এখানেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ধোনি। ২০১৮-র আইপিএলে ক্রিস লিনের বিরুদ্ধে ডিআরএস হোক, কিংবা ২০১৭-য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচে যুবরাজ সিংকে আউট হওয়া থেকে বাঁচানো।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.