প্রি-ওয়েডিং, হলদি, মেহেন্দি, তার পর বিয়ে। শোনা যায়, অনন্ত-রাধিকার বিয়ের জন্য নাকি আম্বানিরা খরচ করেছেন প্রায় ৫০০০ কোটি। বরিস জনসন থেকে জন সিনা, কিম কার্দাশিয়ান, রজনীকান্ত, মহেন্দ্র সিং ধোনি। কে নেই অতিথি তালিকায়? এমন রাজকীয় বিয়ের আয়োজন গোটা বিশ্বে আর কারা করেছেন?
এক্ষেত্রে প্রথমেই আসে ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের কথা। তৎকালীন প্রিন্স চার্লস (বর্তমান রাজা) ও ডায়ানার বিয়ে। ৭৪টি দেশের প্রায় ৭৫ কোটি নাগরিক সাক্ষী ছিলেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের। ডায়ানার গাউনে ১০ হাজার মুক্তো বসানো ছিল। অতিথি তালিকায় ছিলেন সারা বিশ্বের গণ্যমান্য অতিথি। কাটা হয়েছিল প্রায় ২৭টি কেক।
আনন্দ পিরামলের সঙ্গে মেয়ে ইশার বিয়েও ধুমধাম করে দিয়েছিলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। মুম্বই, উদয়পুর ও ইটালির লেক কোমোতে হয়েছিল অনুষ্ঠান। যাতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
২০০৪ সালে দুই ছেলে সুশান্ত ও সীমান্তর বিয়ে একসঙ্গে দিয়েছিলেন বিজনেস টাইকুন সুব্রত রায়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অনুষ্ঠান হয়েছিল। প্রাইভেট জেটে করে প্রায় ১১ হাজার অতিথিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লখনউ স্টেডিয়ামে। এত আয়োজনে নাকি ৫৫৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
প্রাক্তন নেতা তথা ভারতীয় শিল্পপতি গলি জনার্দন রেড্ডির একমাত্র মেয়ে ব্রাহ্মণী। হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী রাজীব রেড্ডির সঙ্গে তাঁর বিয়েতে এলাহি আয়োজন হয়েছিল ২০১৬ সালে। নিমন্ত্রিতর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। আর মোট খরচ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
স্টিল টাইকুন প্রমোদ মিত্তলের মেয়ে সৃষ্টি মিত্তল। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার গুলরাজ বহেলের সঙ্গে তার বিয়ের অনুষ্ঠান তিন দিন ধরে হয় বার্সেলোনায়। ফটোগ্রাফার-ভিডিওগ্রাফারদের জন্যও নাকি হেলিকপ্টারের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ের মোট খরচ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
২০০৪ সালে আরেক স্টিল টাইকুন লক্ষ্মী মিত্তলের মেয়ে বনিশার বিয়ে হয় লন্ডনের ব্যাঙ্কার অমিত ভাটিয়ার সঙ্গে। ছয় দিনের সেই সেলিব্রেশনে শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মতো বলিউড তারকারাও গিয়েছিলেন। খরচ হয়েছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা। তথ্য ও ছবি সংগৃহীত।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.