মহানায়িকা যতটা সমকালীন, ততটাই চিরকালীন। তিনি স্রেফ অভিনয় জগতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। বরং হয়ে উঠেছিলেন একটি আদ্যোন্ত ব্র্যান্ড।
বাঙালি নারীর স্টাইল-আইকন সুচিত্রা সেন। বরাবরই অতি আধুনিকা, সুবেশা, মার্জিত, রুচিশীল এক নারী। যার পোশাক থেকে অঙ্গসজ্জা- কয়েক দশক বাদে গিয়েও ফ্যাশন দুনিয়াকে মুগ্ধ করে।
৬ এপ্রিল সুচিত্রার জন্মদিন উপলক্ষে, তাঁর দূরদর্শী ফ্যাশন সচেতনতা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য রইল।
পাবনার কৃষ্ণার ফ্যাশন, সাজপোশাক, ব্যক্তিত্ব বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে মুগ্ধ করেছিল মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকেও।
সঞ্জীব কুমার, ধর্মেন্দ্র, দেবানন্দ সকলেই ছিলেন দাপুটে 'ম্যাডাম'-এ মুগ্ধ। জানেন কি সুচিত্রাকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করতেন স্বয়ং গুলজার। এই প্রজন্মের কথায়, 'বস লেডি'।
সেই আমলের অনেক মহিলাই সুচিত্রার শাড়ি পরার ধরন নকল করতেন। ম্যাডামের গয়নার কালেকশন দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড় হত তখনকার নায়িকাদের।
এই শতকেও যখন নায়িকারা বিকিনিতে ট্রোল হন। তখন সেই আমলে সমুদ্র সৈকতে নিজেকে শুধু তোয়ালেতে মুড়ে ক্যামেরার জন্য পোজ দিয়েছিলেন রিনা ব্রাউন।
বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম বোল্ড হওয়ার সাহস তিনিই দেখিয়েছিলেন। আদ্যোপান্ত ঘরোয়া লুকে যেমন মানিয়ে যেত সুচিত্রা সেনকে। তেমনই পশ্চিমী পোশাক ক্যারি করতে পারতেন দারুণভাবে।
সুচিত্রাই শাড়ির সঙ্গে স্লিভলেস ব্লাউজ ট্রেন্ড শুরু করেন। তাঁর লেসের ব্লাউজ, শাড়ির কালেকশনও ছিল দেখার মতো। মহানায়িকার শিফন কিংবা প্রিন্টেড শাড়ির কদর ছিল তখনকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলাদের মধ্যে।
লাউঞ্জ ওয়্যার হোক বা যে কোনও ওয়েস্টার্ন পোশাক মিসেস সেন কিন্তু বরাবরই ফ্যাশন ট্রেন্ড সেট করে গিয়েছেন। আজকের নারীদের কাছেও তিনি ফ্যাশন আইকন।
'ম্যাডাম' আধুনিকা। সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল সুচিত্রা সেনের ফ্যাশন সেন্স।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.