করোনা কাল কাটিয়ে প্রায় আড়াই বছর পর যুবভারতীতে ফিরেছে বড় ম্যাচ। স্বাভাবিক ভাবেই ইস্ট-মোহন ডার্বি ঘিরে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
ম্যাচ শুরুর অনেক আগে থেকেই যুবভারতীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন দুই দলের সমর্থকরা। তবে দিনের শেষে হাসি মুখে বাড়ি ফিরলেন সবুজ-মেরুন ভক্তরাই।
মোহনবাগান নামের পাশ থেকে এটিকে মুছে ফেলার দাবি বহুদিন ধরে জানিয়ে আসছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। তা নিয়ে ডার্বির দিনও প্রতিপক্ষের কটাক্ষ শুনতে হল তাঁদের।
একে শতবর্ষের ডার্বি, তার উপর যুবভারতীতে বসে খেলা দেখার অনুমতি পেয়েছেন দর্শকরা। তাই নানা ফেস্টুন, টিফো, পোস্টারে সমর্থকরা ভরিয়ে তুলেছিলেন গ্যালারি।
ডার্বির মঞ্চকে এদিন প্রতিবাদের মঞ্চও বানিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। প্রশাসনিক কর্তাদের গাফিলতিতে নির্বাসিত হয়েছিল ফেডারেশন। 'ফুটবল মাফিয়া'দের জন্য নষ্ট হচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের ভাবমূর্তি। সেই সংক্রান্ত টিফোও এদিন দেখা যায় গ্যালারিতে।
নিজেদের দলের জন্য গলা ফাটাতে কাতারে কাতারে সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভিড় জমান লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু তাঁদের দলের সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলেই হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
ডুরান্ড কাপের ডার্বি ঘিরে টিকিটের হাহাকারের ছবিটা গত কয়েকদিন ধরেই দেখেছে শহর কলকাতা। এদিন কানায় কানায় ভরতি গ্যালারি দেখেই স্পষ্ট, যে এই ম্যাচ দেখার জন্য কতখানি মুখিয়ে ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
লিস্টন কোলাসোর কর্ণার থেকে এদিন আত্মঘাতী গোল করেন সুমিত। তাতেই চলতি ডুরান্ডে প্রথম জয় আসে মোহনবাগানের। এই নিয়ে টানা ছ'টি ডার্বি জিতল গঙ্গাপারের ক্লাব। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন ফুটবলাররা।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.