রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গ্যালারিতে ‘প্রতিবাদী’ টিফো নামানোর পরিকল্পনা করে দুই প্রধান মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা
আচমকা শনিবার দুপুরে বাঙালির বড় ম্যাচ বাতিল করে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বিধাননগর জোন) অনীশ সরকার জানান, ৬০-৬২ হাজার দর্শকের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
আর জি করে নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হলেন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। পথে নেমে সাফ জানিয়ে দিলেন, দোষীদের শাস্তি চাই।
ফুটবলপ্রেমীরা সিদ্ধান্ত নেন, ডার্বি না হলেও শহরের রাজপথে প্রতিবাদ জারি রাখবেন তাঁরা। সেই মতোই রবিবার বিকেলে যুবভারতীতে জমায়েত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
যুবভারতী চত্বরে ১৬৩ ধারা ঘোষণা করে পুলিশ। তা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের পতাকা হাতে হাজির হন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। প্রতিবাদী জনতার উপরে লাঠি চালানোর অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্টেডিয়াম চত্বরে বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রতিবাদীদের সঙ্গে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে জড়ান পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
পুলিশি লাঠিচার্জের মুখে পড়ে আহত হন মোহনবাগান সমর্থক সুধীন পাল। তবে বৃষ্টি, পুলিশি লাঠিচার্জ মাথায় নিয়েও প্রতিবাদ চালিয়ে যান শয়ে শয়ে মানুষ।
বিক্ষোভে শামিল হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ফুটবল দেখতে গিয়ে কেন আটক হবেন ক্রীড়াপ্রেমীরা? কেন গ্রেপ্তার করা হবে তাঁদের?
তবে আর জি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে একজোট হয়েছেন কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা, তাতে আপ্লুত মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। সকল ক্রীড়াপ্রেমীকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.