ভয়াবহ বালিঝড়ের কবলে ইরাক। গ্রীষ্মকালে মাঝে মধ্যে ধুলোর ঝড় হয় ইরাকে। কিন্তু ক্রমাগত জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ঘনঘন বালিঝড় আছড়ে পড়ছে ইরাকে।
বালিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ এবং নাজাফ শহরে। ঘন বালিতে ঢেকে গিয়েছে আকাশ।
ইতিমধ্যেই এই ঝড়ের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। বালিঝড়ের ফলে তাঁদের সকলেরই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া সতর্কবার্তা জারি কড়া হয়েছে। বিশেষত বয়স্ক মানুষ এবং যাঁদের শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।
কেন হয় বালিঝড়? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং খুব বেশি গরম থাকার কারণে মাটি খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। শুকনো মাটির উপরে জোরে হাওয়া বইতে শুরু করলেই বালিঝড় হয়।
বালিঝড়ের ফলে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছিল দেশের বিমান পরিষেবা। হাসপাতালগুলিকে আরও বেশি মানুষকে ভরতি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ইরাকে তাপমাত্রা পঞ্চাশ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরকম চলতে থাকলে আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে শুকিয়ে যেতে পারে ইরাকের দুই প্রধান নদী টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস। গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে জল সঞ্চয়ের পরিমাণ।
যুদ্ধ এবং অন্যান্য সমস্যায় ইতিমধ্যেই ভুগছে ইরাক। তার মধ্যে এইরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে বলে দাবি করেছেন সেদেশের বিশেষজ্ঞরা।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.