কেউ সাংসদ, কেউ এখনও হাঁকাচ্ছেন ছক্কা, ২০০৭-এর বিশ্বজয়ীরা আজ কে কোথায়?

গৌতম গম্ভীর- ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আইপিএলে দুবছর মেন্টর ছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের। চলতি বছরেই কেকেআরের মেন্টর হিসাবে দায়িত্ব নেন, চ্যাম্পিয়ন করেন দলকে। ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হওয়ার দৌড়ে সকলের আগে রয়েছে তাঁর নাম।

ইউসুফ পাঠান-ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি নেমে পড়েছেন রাজনীতির ময়দানে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন। হেভিওয়েট প্রতিপক্ষ, কংগ্রেসের পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে তাঁর 'গড়' বহরমপুর থেকে হারিয়েছেন ইউসুফ।

রবিন উত্থাপ্পা- পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে প্রায়শই দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার হিসাবেও কাজ করছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে হিন্দি ধারাভাষ্যের প্যানেলে রয়েছেন উত্থাপ্পা।

যুবরাজ সিং- এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে উদ্বোধনী বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিয়েছিলেন। তার পর মারণ রোগ ক্যানসারকে হারিয়ে খেলেছিলেন ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালও। আপাতত সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত তিনি। চলতি বিশ্বকাপে তাঁকেই টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে বেছে নিয়েছে আইসিসি।

মহেন্দ্র সিং ধোনি- ২০০৭ সালে প্রথমবার জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন দলকে। এখনও আইপিএলে মাহির ব্যাটিং দেখতে মুখিয়ে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু নিজেকে আড়ালে রাখতেই ভালোবাসেন ক্যাপ্টেন কুল। নিজের ফার্মের কাজে ব্যস্ত থাকেন রাঁচিতে।

রোহিত শর্মা- সেদিনের বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ক্রিকেটার আজ ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে নামবেন টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে। তিন ফরম্যাটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছেন, হারতে হয়েছে দুবার। তৃতীয়বারের চেষ্টায় ট্রফি জিততে মরিয়া হিটম্যান।

ইরফান পাঠান- ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আপাতত ধারাভাষ্য দেন নানা টুর্নামেন্টে। ভাই ইউসুফের সঙ্গে মিলে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিও চালান। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে অংশ নিয়েছিলেন নাচের রিয়্যালিটি শো 'ঝলক দিখলা যা'তে।

হরভজন সিং- ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। ২০২২ সালে আপ থেকে সাংসদ হিসাবে মনোনীত হন। এছাড়াও একাধিক সিনেমা এবং টিভি শোয়ে তাঁকে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার হিসাবেও কাজ করেন তিনি।

যোগীন্দর শর্মা-বিশ্বজয়ের সেই অবিস্মরণীয় ওভারের বোলার ছিলেন। মিসবা-উল-হকের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জেতান ভারতকে। বিশ্বজয়ের পরের মাসেই যোগ দেন হরিয়ানা পুলিশে। ডিএসপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তবে ২০২৩ সালে একটি আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে হরিয়ানা পুলিশ।

এস শ্রীসন্ত- দুটি বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নাম জড়ায় গড়াপেটা কাণ্ডে। নির্বাসিত হন ক্রিকেট থেকে। তার পর থেকে সিনেমায় অভিনয় করেছেন, অংশ নিয়েছেন রিয়্যালিটি শোয়ে। বিজেপির টিকিটে কেরলের বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরে যান।

আর পি সিং- ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন প্রাক্তন পেসার। আপাতত ধারাভাষ্যকার হিসাবেই তাঁকে দেখা যায় টিভির পর্দায়।