সঙ্গীত ও শিল্পকলার উদযাপনের মাধ্যমে চৈতন্য গ্রন্থাগার পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিল ক্যালকাটা হেরিটেজ কালেক্টিভ। ১২ জানুয়ারি শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে চৈতন্য গ্রন্থাগারের নতুন পথচলা শুরু হল।
১৩৫ বছরের পুরনো গ্রন্থাগারকে পুনরুজ্জীবিত করতে চালু হল চৈতন্য প্রজেক্ট। সান্ধ্যকালীন জলসায় উপস্থিত ছিলেন বিক্রম ঘোষ, শুভপ্রসন্ন, পণ্ডিত এস শেখর, পুলক সরকার, অভিষেক মল্লিক, সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
১৮৮৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর দিনে গৌরহরি সেন, কুঞ্জবিহারী দত্তের উদ্যোগে এবং গঙ্গানারায়ণ দত্তের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়েছিল এই গ্রন্থাগার। তখন দু’আনায় সদস্যপদ ও দশ টাকায় আজীবন সদস্যপদ মিলত। শহরের প্রথম কয়েকটি গ্রন্থাগারের মধ্যে অন্যতম এই চৈতন্য লাইব্রেরির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নাম জড়িয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
লাইব্রেরির বিভিন্ন অধিবেশন থেকে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা- সবেতেই সক্রিয় থাকতেন তিনি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, পাদ্রি রেভারেন্ড অ্যালেক্স টমরি, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, কালীপ্রসন্ন ঘোষ, সি ভি রমন— বিভিন্ন সময়ে বহু মনীষীর ছোঁয়ায় ঋদ্ধ হয়েছে এই পাঠাগার।
বিক্রম ঘোষের পারফরম্যান্সের পাশাপাশু শুভপ্রসন্ন তাঁর ৭৩ বছরের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যে দর্শকদের সামনে একটি অত্যাশ্চর্য চিত্রকর্ম পরিবেশন করলেন লাইভ।
শুভপ্রসন্ন বলেন, "ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরির পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য ক্যালকাটা হেরিটেজ কালেক্টিভ আয়োজিত বিশেষ সন্ধ্যা চৈতন্যর অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত। ১ লক্ষেরও বেশি বই এবং ২৫,০০০ জার্নাল ধারণকারী এই অমূল্য ঐতিহ্য, আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা আবশ্যক।"
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.