সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেপ্তারি এবং হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। এমনকী ওপার বাংলায় ইসকন নিষিদ্ধের ডাকও উঠেছিল। কিন্তু ভারতে ইসকনের স্থান অত্যন্ত সম্মানজনক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা দেশের নানা শহরের ইসকনে পৌঁছে যান শান্তির খোঁজে। এদেশেই রয়েছেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইকসন মন্দির। মায়াপুরে।
ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা একজন বাঙালি। আরও স্পষ্ট করে বললে কলকাতার বাসিন্দা অভয়চরণ দে তথা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ লীলাধরের হাতে গড়ে উঠেছিল ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ISKON)। বর্তমানে কলকাতার ইসকনের ভক্ত সংস্থাও চোখে পড়ার মতো।
রাজধানী দিল্লির ইস্ট কৈলাশ এলাকায় অবস্থিত ইসকন মন্দিরে পুজো হয় রাধা ও পার্থসারথীর। অক্টোবর থেকে মার্চে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসেন এই মন্দিরে।
ভারতে প্রথম ইসকন মন্দির নির্মিত হয় ১৯৭৫ সালে। শ্রী কৃষ্ণের রাসলীলা ক্ষেত্র বৃন্দাবনে। এই মন্দিরটি কৃষ্ণ-বলরাম মন্দির নামেও পরিচিত। আজও এখানের হোলি বিশ্বখ্যাত।
গুজরাটের আহমেদাবাদের ইসকনে পূজিতা হন রাধা গোবিন্দ। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই মন্দিরে বেশি যাতায়াত ভক্তদের।
জয়পুরের মানস সরোবরে প্রতিষ্ঠিত ইসকন অনবদ্য স্থাপত্যের নিদর্শন। রাজস্থানের সংস্কৃতি ধরা পড়ে মন্দিরের আনাচে কানাচে। ধুমধাম করে পালিত হয় জন্মাষ্টমী এবং হোলি।
হায়দরাবাদের নামপল্লি এলাকায় অবস্থিত ইসকন জনপ্রিয় জন্মাষ্টমী, গৌর পূর্ণিমা এবং দিওয়ালি উৎসবের জন্য। তবে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতেও ভক্তদের ঢল নামে।
ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মিশেলে তৈরি হয়েছে বেঙ্গালুরুর ইসকন মন্দির। এটি বিশ্বের বিশালাকার মন্দিরগুলির অন্য়তম। নিয়মিত এখানে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। অন্যান্য ইসকনের মতোই হয় ভোগ বিতরণও।
মুম্বইয়ের জুহুতে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে গোটা বছরই ভক্তদের ভিড় জমে। তবে সবচেয়ে বেশি ভক্ত সমাগম হয় জন্মাষ্টমীতে।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.