ধর্মতলায় বিজেপির যে সভা নিয়ে এতদিন ধরে এত আলোচনা, এত প্রস্তুতি, সেই সভাকেও সর্বাত্মক রূপ দিতে পারলেন না গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
সভায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে লোক এসেছিলেন বটে। তবে লক্ষ লোকের জমায়েতের যে দাবি বিজেপির তরফে করা হচ্ছিল, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সেই দাবির ধারেকাছেও যেতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তাছাড়া দলীয় কর্মীদের সেই জোশও চোখে পড়ল না।
সভার সামনের দিকে ভিড় ছিল বটে। একটু দূরের দিকে তাকাতেই দেখা গেল মানুষের মাথার চেয়ে ফাঁকা জায়গাই বেশি। ভিড়ের দৈর্ঘ্যও বিশেষ নজর কাড়েনি।
অমিত শাহর ভাষণেও বিশেষ নতুন বার্তা ছিল না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন মাত্র ২৩ মিনিটের বক্তৃতা করেছেন। দলীয় কর্মীদের প্রত্যাশা ছিল অন্তত আধা ঘণ্টার ভাষণ দেবেন শাহ, মমতা সরকারকে তুলোধোনা করবেন।
সভা থেকে চেনা সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সবটাই পুরনো ইস্যুতে। নতুন সেভাবে কিছুই শোনা যায়নি শাহী সভায়। ফলে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহও সেভাবে চোখে পড়েনি।
সভায় বিজেপি নেতাদের প্রাপ্তি দলের বঙ্গ নেতাদের ঐক্য। শাহী সভায় অন্তত বিজেপির রাজ্য নেতাদের একজোট মনে হল। সভামঞ্চে একসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহারা ছিলেন। ছিলেন একাধিক সাংসদও।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.