তৃণমূলের 'নবজোয়ার' কর্মসূচির নবম দিনে দিনভর মালদহে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এ পর্যন্ত সব জেলাতেই এই কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া পেয়েছেন অভিষেক। ব্যতিক্রম হল না মালদহতেও। প্রায় সব কর্মসূচিতেই বিপুল মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
মালদহ বিধানসভা এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও এদিন সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার কর্মসূচি ছিল অভিষেকের।। আলাপচারিতায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে যোগ দেন বহু এলাকাবাসী।
এদিন সকালে মালদহের গাজোলে দীর্ঘ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই দীর্ঘ পদযাত্রায় মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন অভিষেক।
সময় যত এগোচ্ছে, তৃণমূলের কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ ততই বাড়ছে। অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের তরফে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। এদিন বুলবুলচণ্ডীর জনসংযোগেও স্থানীয়দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কর্মসূচির নবম দিনে অভিষেক গিয়েছিলেন মালদহের হাবিবপুর এলাকায়। প্রধান সড়ক থেকে পাড়ার গলিপথ, সব জায়গায় হেঁটেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সঙ্গে হেঁটেছেন অগণিত মানুষ।
এদিন অভিষেক হাবিবপুরের শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরেও যান। সেখানে পুজো দেওয়ার সময়ও ভিড় জমিয়েছিলেন বহু তৃণমূল নেতাকর্মী।
এদিন হবিবপুরে শতোর্ধ্ব বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। রাস্তার ধারে তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেই দেখা করার জন্য অপেক্ষারত ছিলেন।
ওই বৃদ্ধার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর করেন অভিষেক। জানা যায়, সেই বৃদ্ধার নাম বিমলা সরকার। বয়স ১২৭ বছর!
এদিন মালদহের জনসভা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে তোপ দেগেছেন অভিষেক। অধীরের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের অভিযোগ করে অভিষেকের দাবি, প্রদেশ সভাপতি একবারও বাংলার পাওনা নিয়ে দিল্লিতে সরব হন না।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.