প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম। ফুঁসছে তিস্তা। তার জেরে ধস নামল সিকিমের লাচুং এলাকায়। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও তাঁদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পর জরুরিকালীন বৈঠক ডেকেছেন উত্তর সিকিমের জেলাশাসক।
নদীর তীরবর্তী থাকা বেশকিছু বাড়ি জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিংথাম ও রঙপোতে তিস্তার জল লাল সতর্কতা পার করেছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত সিকিমের মঙ্গন জেলাও। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে সেখানে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রিমিত খোলা ও রাফং খোলা নদী ফুঁসে উঠে জনপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক রাস্তা। এই মূহুর্তে মঙ্গন পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানে মোবাইল পরিষেবাও কাজ করছে না।
গেইথাং, নামপাথাং এলাকায় ভূমিধসে প্রচুর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্রিংবং গ্রামের অনেক এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ব্রিংবং আউট পোস্টের পুলিশ কর্মীদের নিরাপদ এলাকায় সরানো হয়েছে।
মঙ্গনের কাছে পাকশেপ এলাকায় নিখোঁজ দুজন। গেইথাং, নামপাথাং এলাকায় ভূমিধসে প্রচুর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বুধবার রাত থেকেই সিকিমে টানা বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ফের একবার জলস্তর বেড়েছে তিস্তার। কোথাও কোথাও জাতীয় সড়কের কাছে উঠে গিয়েছে তিস্তার জল।
তিস্তার জল বাড়তেই ফের একবার আতঙ্কে পাহাড়বাসী। এর জেরে জাতীয় সড়ক বন্ধ হলে প্রভাব পড়বে পর্যটনেও।
এদিকে বৃহস্পতিবার কালিম্পংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের আশঙ্কা যে কোনও সময় বন্ধ হতে পারে বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
উত্তরবঙ্গেও প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগ চলছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইতে পারে।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.