প্রতীকী ছবি
হালে হসপিটাল স্টকসের বাজার তুঙ্গে। আর তাই, বাজার বিশেষজ্ঞরা গ্রাহকদের নজর দিতে বলছেন এই ধরনের স্টকে লগ্নির দিকে। তাঁদের পূর্বাভাস, ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে স্বমহিমায়। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
বিপুল চাহিদা এবং তার তুলনায় কম যোগান, এই দুইয়ের সুবিধা পাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। এরই ভিত্তিতে বিভিন্ন ‘হসপিটাল স্টক’-এর দিকে নজর দিতে বলছেন নানা ব্রোকিং সংস্থার কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যখাতে খরচও বেশি করছেন ইদানীং। আর এই ধারাটি অটুট থাকবে ভবিষ্যতে, এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘সঞ্চয়’-এর তরফে রইল আজকের বিশেষ প্রতিবেদন। প্রথমেই তালিকা প্রস্তুত করা যাক হাতে-বাছাই হসপিটাল কোম্পানিগুলো, যেগুলো শেয়ার মার্কেটে সম্প্রতি ভালো ফল করেছে। সঙ্গের তালিকা দেখুন।
ভারতবর্ষে এমনিই স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা বাড়ছে। ওষুধ নির্মাতা সংস্থা, ডায়াগনস্টিক ল্যাব, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি এবং সংশ্লিষ্ট রিসার্চ কোম্পানি, সব কিছুর জন্যই বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন কর্পোরেট হাসপাতালগুলো নিজেদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পেরেছে। প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের দেশে তা একেবারেই অস্বাভাবিক বলে গণ্য নয়। বিশেষ করে মাঝারি এবং বড় মাপের হাসপাতালগুলো যথেষ্ট লাভবান হবে এই কারণে। আগামী দিনে তাই ইনভেস্টররা তাঁদের পোর্টফোলিওর মধ্যে বাছাই করা স্টক অন্তর্গত করতে ইচ্ছুক হবেন, এমনই মনে করছেন অ্যানালিস্টরা। উদাহরণ : নারায়ণা হৃদয়ালয়া
কেবল দৃষ্টান্ত হিসাবে এবং কোনও রকম পক্ষপাত ছাড়া আমরা বেছে নিচ্ছি নায়ারণা হৃদয়ালয়ার শেয়ারটি। গত শুক্রবারের ক্লোজিং অনুযায়ী, দাম ১২৬২.২০ টাকা। ৫২ সপ্তাহের হাই এবং লো ছিল যথাক্রমে ১,৪৪৪.৯০ টাকা এবং ৭৪৬.৩০ টাকা। ট্রেডেড ভল্যুইম ছিল স্বল্প, ২ লক্ষের সামান্য বেশি।
একাধিক ব্রোকার ‘বাই’ কল দিয়েছিলেন গত কয়েক কোয়ার্টারজুড়ে বলে জানা যাচ্ছে। মিড ক্যাপ হেলথকেয়ার স্টক হিসাবে পরিচিত এই শেয়ারটির ভবিষ্যত সম্বন্ধে আশাবাদী তাঁদের অনেকেই। দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ার সুবিধা পাবে কোম্পানিটি এবং তার প্রতিফলন দেখা যাবে স্টকে। ঘটনা, কোম্পানিটি প্রফিট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে সম্প্রতি, টার্নওভারও উন্নত হয়েছে একইসঙ্গে। বিখ্যাত শল্যচিকিৎসক দেবী শেট্টি এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত, এমন তথ্যের দিকে নির্দিষ্টভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অ্যানালিস্টরা।
হেলথকেয়ার ফান্ড (যেখানে কর্পোরেট হসপিটাল স্টক নিয়ে আলাদাভাবে চর্চা করেন পরিচালকরা) নিয়ে আগ্রহী অনেকেই। অবশ্য সেই সমস্ত ফান্ডের পোর্টফোলিওতে আরও নানা ধরনের হেলথকেয়ার শেয়ারও থাকে (মূলত ওষুধ সংস্থার স্টক)। ইনভেস্টররা চাইলে একাধিক হেলথকেয়ার ফান্ডে নিজেদের লগ্নি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে পারেন। উদাহরণ হিসাবে তিনটি ফান্ডের কথা আমরা উল্লেখ করতে চাই। তবে কোনও অবস্থাতেই এগুলোতে লগ্নির ব্যাপারে তা পরামর্শ হিসাবে দেখা
যাবে না।
আরও নির্দিষ্টভাবে Nippon India Pharma Fund-এর কথা বলতে চাই আমরা। অন্যান্য এই শ্রেণির ফান্ডের মতোই এই ওপেন-এন্ড ফান্ড। অর্থাৎ যে কোনও দিন বেচা-কেনা করতে পারেন লগ্নিকারী। পাঁচ বছরে ফান্ডটি ২৩.০৮% রিটার্ন দিয়েছে। তার মানে বিএসই হেলথকেয়ার ইনডেক্স, এটির বেঞ্চমার্ক–জানিয়ে দিয়েছেন ফান্ড ম্যানেজার। কারণ ইনডেক্সটি তুলনায় ২০.৩০% দিতে পেরেছে এই একই সময়ে। সঙ্গের চার্টে চোখ রাখুন।
ব্রোকাররা কী বলছেন :
-আরও হসপিটাল স্টকের কথা শুনতে পাব আমরা ভবিষ্যতে।
-হাসপাতাল ব্যবসায় বড় মাপের লগ্নি শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
-পোর্টফোলিও গঠন করার সময়ে অন্য ফার্মা কোম্পানির সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল সংস্থার শেয়ারও মনে রাখা উচিত।
-প্রফিটেবিলিটি এবং রিটার্ন অন ইক্যুইটি–এই দুই প্রধান মাপকাঠির নিরিখে একাধিক হাসপাতাল কোম্পানি এগিয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.