প্রতীকী ছবি
শুধু জীবনে নয়, বাজার অর্থনীতিতেও সমতা বজায় রাখা খুব জরুরি। ব্যালান্সড ফান্ডের প্রসঙ্গ এই সূত্রেই। বর্তমানে হাইব্রিড ফান্ডের জগতে প্রধান বাছাই এই ব্যালান্সড ফান্ডই, যা তৈরি হয়েছে ইক্যুইটি এবং ডেটের সংমিশ্রণে। বিস্তারিত লগ্নি পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন দে-র কলমে।
গত কয়েক দিনের মধ্যে শেয়ার মার্কেটে কী হয়েছে, তা আমরা সকলেই দেখেছি। একদিনে পাঁচ শতাংশের বেশি ইনডেক্স পড়েছে, পরের দুদিনেই তা পুষিয়ে দিয়ে ফের অলটাইম হাইয়ের দিকে দৌড়েছে। সূচকের এই অতি দ্রুত ওঠাপড়ার মাঝে যে সারসত্য উঠ আসে, তা হল ভোলাটিলিটি সংক্রান্ত। অনিশ্চয়তা যেখানে প্রবল, তখন সেখানে অনেকেই তা থেকে দূরে থাকতে চাইবেন স্বাভাবিক ভাবেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলে আসে ব্যালান্সড পোর্টফোলিওর বিষয়টি। রিটেল ইনভেস্টরদের জন্য বিশেষ করে ব্যালান্সড ফান্ড এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণির ফান্ড। আজ আমরা পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি ব্যালান্সড গোত্রের এই বিকল্পটির সঙ্গে।
কী এবং কেন?
হাইব্রিড ফান্ডের দুনিয়ায় প্রধান বাছাই এখন ব্যালান্সড ফান্ড। ইক্যুইটি তো থাকেই, ডেটও থাকে। এই মিশ্রণই এখানে মূল প্রসঙ্গ, এরই সুবাদে রিস্কের মাত্রা কম হয়।
সংক্ষেপে বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. ইক্যুইটি খুব অনিশ্চিত। স্টক মার্কেটের সাম্প্রতিক চড়াই-উৎরাই দেখে ফের তা বোঝা গেল।
২. ডেট অনেকটাই কম ঝুঁকিপূর্ণ, শেয়ারের মতো তাৎক্ষণিক ওঠাপড়া বিরাটভাবে হয় না বললেই চলে। তবে সব অ্যাসেটের মতোই, এখানেও ঝুঁকি আছে।
৩. স্টক দেবে গ্রোথ, ডেট (তথা ফিক্সড ইনকাম) দেবে স্থিতি (পড়ুন: ইনকাম জনিত স্টেবিলিটি)।
৪. ব্যালান্সড ফান্ডে দুই শ্রেণির অ্যাসেট থাকার দরুণ, দুটিরই সুবিধা ভোগ করবেন বিনিয়োগকারী। এই বিকল্প ডামাডোলের বাজারে, মার্কেটের অনেকেই তাই এই বিকল্পটি পছন্দ করবেন।
ব্যালান্সড তথা হাইব্রিডের জগতে প্রধানত দুটি ভিন্ন ধরনের ফান্ড পাবেন।
১. ইক্যুইটি-ওরিয়েন্টেড
২. ডেট-ওরিয়েন্টেড
অন্তত ৬৫% অ্যাসেট যদি ইক্যুইটিতে থাকে তাহলে ফান্ডটি প্রথম শ্রেণিভুক্ত, বলা চলে। বাকি অংশ থাকবে ঋণপত্রে। আবার উলটোটা যদি হয়, অর্থাৎ অন্তত ৬৫% যদি ডেট সিকুইরিটিজ হয়, তাহলে দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত হবে সেটি। কীভাবে ট্যাক্স নির্ণয় করা হবে, তা বহু লগ্নিকারীর জন্য খুব জরুরি এই প্রসঙ্গে। এই জন্য আয়কর আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো জানা দরকার।
উদাহরণ হিসাবে হাইব্রিড ফান্ডের দুনিয়ে থেকে বেছে নিয়েছি Axis Balanced Advantage Fund. দৃষ্টান্ত কেবল, বিনা পক্ষপাতে এই ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে।
১.পাঁচ বছরের হিসাবে ১,০০,০০০ টাকার বিনিয়োগ বেড়ে হয়েছে ১,৭৬,০০০ টাকা। এবং ১০,০০০ টাকার মান্থলি সিপও ভাল ফল দেখিয়েছে, বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৪ লক্ষ টাকায়। (এপ্রিলের শেষে)।
২. ইক্যুইটি ও ডেট আছে, দুইয়েরই সুবিধা পাবেন। সময় বুঝে এগুলোর অনুপাত বদলে দেওয়া হয়।
বাজারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে কর্তৃপক্ষের মতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.