ছবি: প্রতীকী
পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশনের নতুন নন-কনভার্টিবল ডেবেঞ্চার নিয়ে লগ্নিকারীদের আগ্রহের অন্ত নেই। এই ঋণপত্রের ‘প্লাস পয়েন্ট’ এর AAA রেটিং। কেন হাত বাড়াবেন এদিকে, কারণ সংকলন করল টিম সঞ্চয়
সম্প্রতি বাজারে এসেছে পাবলিক সেক্টর সংস্থা, পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশনের নন-কনভার্টিবল ডেবেঞ্চার। লগ্নিকারীরা ৭.৫৪% পর্যন্ত বার্ষিক হারে সুদ পেতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। AAA রেটিং প্রাপ্ত এই ঋণপত্রের জন্য ন্যূনতম লগ্নির পরিমাণ ১০,০০০ টাকা। সব মিলিয়ে সংস্থাটি মোট ৫,০০০ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছে NCD-র মাধ্যমে।
সংস্থার বিষয়ে কয়েকটি তথ্য :
# পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন একটি non deposit taking NBFC (non-banking financial company) হিসাবে গণ্য।
# আর্থিক বর্ষ ২০২৩-এর লোন অ্যাসেটসের পরিমাণ ছিল ৪,২২,৪৯৮ কোটি। ট্যাক্স দেওয়ার পর প্রফিট ছিল ২১,১৭৯ কোটি।
# পাওয়ার সেক্টরে লোন দেওয়ার জন্য গঠিত হওয়া সংস্থাটি আজ এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় আছে। লোন-বুক বেড়েছে এবং আগামিদিনে আরও বড় হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
এদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ব্ল্যাকরক-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। দুই সংস্থা যৌথ ভাবে একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা চালু করছে। নাম জিও ব্ল্যাকরক। দুই সংস্থারই ৫০ শতাংশ করে অংশীদারিত্ব থাকবে তাতে। মোট ৩০০ মিলিয়ন ডলার বা ২৪৫৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে এই সংস্থায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে আলাদা হয়েছে জিও ফিনান্স। এবার ব্ল্যাকরক-কে ভারতের বাজারে ফিরিয়ে আনল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। প্রসঙ্গত, জিও ফিনান্সের হাত ধরে ২০১৮ সালের পর ফের একবার ভারতের বাজারে পা রাখতে চলেছে ব্ল্যাকরক।
ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রটি আরও সরল করাই সংস্থার প্রাথমিক লক্ষ্য। যৌথ বিবৃতিতে এমনই বলা হয়েছে। ব্ল্যাকরকের অভিজ্ঞতা এবং জিও-র প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই নয়া সংস্থা এগিয়ে যাবে বলেই জানানো হয়েছে। দুই সংস্থার কর্তৃপক্ষের মতে, লগ্নিকারীরা এই গাঁটছড়া থেকে উপরৃত হবেন। ব্ল্যাকরক-এর সঙ্গে জুটি বাধার পর জিও ফিনান্স এবং রিলায়েন্সের বাজার দর কেমন যায়, তার উপর চোখ রাখবেন সবাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.